শিলচর ঘুরে এলাম: নুনমের ডায়েরি থেকে।
ভ্রমণপিপাসুরা সবসময়ই সুযোগের সন্ধানে থাকেন। তাই কাজের খাতিরেও কোথাও গেলে জায়গাটার চারপাশ না দেখলে তাদের মন ভরে না। আর সেই ভ্রমণপ্রেমীর যদি কলমও কথা বলতে ভালবাসে তাহলে কি আর মন ভরবে চারপাশের সৌন্দর্য তথা নানাবিধ ঘটনাকে কলমকে হাতিয়ার করে ডায়েরিবন্দী না করা অব্দি? এমনই ঘটেছে সুদূর কলকাতা থেকে আসা নুনম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তার কলমের আঁচড়ে বর্ণিত হয়েছে শিলচর তথা আশেপাশের জায়গাগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ধরা পড়েছে তথ্য সহ জায়গাগুলোর সুষ্ঠু বর্ণন। ভাষার মাধুর্যে, পরিবেশনের সুকৌশলে এবং তথ্য অন্তর্ভূক্তিতে ডায়েরিবন্দী এই ভ্রমণবৃত্তান্ত পাঠকদের মনোরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চল ভ্রমণের ইচ্ছে মনের ভেতরে দানা বাঁধবে।
তাই লেখিকাকে ধন্যবাদ তার এই ভ্রমণকথার জন্য।
পরীক্ষা ছিল। ওটা গৌণ। বেড়ানোর একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম এটাই মুখ্য। তবে পড়ার চাপে প্ল্যান করা হয়নি একদম। টিকিট ও কাটা হয়েছিল স্বল্প সময়ের মেয়াদে। শিলচর মেন রুট থেকে একটু দূরে তাই একটি মাত্র ট্রেনই ভরসা। ফলে পরীক্ষার দিনচারেক আগেই রওনা দিলাম শেয়ালদা থেকে। প্রথম দিনের জার্নির বিরক্তি ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছিল গুয়াহাটির পর থেকেই। চারপাশে ছোট বড়ো পাহাড়ের রুক্ষতা মন কেমন করে দিচ্ছিল। এরপর একসময় ট্রেন এসে পৌঁছালো লামডিং স্টেশনে। এখানে এক ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে ট্রেনের উল্টো যাত্রা শুরু হলো। এই পথে পড়ে ২৮ টা টানেল। যাদের মধ্যে কয়েকটি ৩০০০-৪০০০ মিটার পর্যন্ত লম্বা। গুহার মজা নিতে নিতে আসে পাশে হঠাৎ চোখে পড়লো অগুন্তি কাশ ফুলের সারি। প্রকৃতির কি অসীম লীলায় বাংলার শরত পল্লীপুষ্পের দল ভীড় জমিয়েছে পাহাড়ের আনাচে কানাচে। কি অসীম রুক্ষতা, কি প্রাণহীনতা, চড়াই, উতড়াই খাত আর নির্জনতায় দীর্ঘ পথ পেড়িয়ে পাহাড়ের কোলের এক ছোট্ট স্টেশনে ট্রেন এসে দাঁড়ালো। হাফলং স্টেশনে পা রাখতেই দীর্ঘ সময়ের ক্লান্তি অবসন্নতা উধাও হয়ে গিয়ে নিমেষে শান্তিতে প্রান জুড়িয়ে গেল। চারিদিকে পাহাড়, নিশ্চুপ শীতলতা। ছিমছাম ছোট্ট স্টেশনের লাল বেঞ্চ মনের মধ্যে যেন একটা নিরবিচ্ছিন্ন নৈসর্গিক শান্তির জগত রচনা করছিল। এত শান্তি শিলচরের কোথাও পাইনি। কিন্তু এবার উঠতে হবে, ট্রেন ছাড়ার সময় হয়েছে, গন্তব্য শিলচর।
৩ ঘন্টা লেট করে সন্ধ্যে পেড়িয়ে একসময় ট্রেন এসে পৌঁছালো শিলচর স্টেশন। ঝকঝকে চকচকে ছোট্ট বাঙালী শহর শিলচর। মূল শহরে পাহাড়ের লেশ মাত্রও নেই। আমরা একটা অটো নিয়ে চলে এলাম হার্ট অফ দি টাউন এ। দুটো হোটেল দেখতেই একটা পছন্দ হয়ে গেল। আমরা ব্যাগ পত্র নিয়ে পাঁচ দিনের জন্য উঠে এলাম সেবক লজে। যায়গাটার নাম ভারী সুন্দর। প্রেমতলা। সামনেই বিশাল মল। গমগমে রাস্তা পাহাড়ের মাদকতাটাকে একেবারে নষ্ট করে দিচ্ছিল। একটু এগিয়ে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে দেখলাম এক যায়গায় শনি পূজার অনুষ্ঠান হচ্ছে। কৌতূহল বশত একটু দাঁড়িয়ে দেখতেই ওখানকার কর্মকর্তারা আমাদের সামনে চেয়ার এনে দিলেন। হাসি মুখে জল দিতে চাইলেন। অনুষ্ঠানের একদম সামনে বসার ব্যবস্থা করে দিতে চাইলেন। এক অভাবনীয় আতিথেয়তায় সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। রাত গভীর হলে ক্লান্তিরা চোখে ঘুম হয়ে নেমে এলো।
২রা ফেব্রুয়ারি
বেশ বেলা করে ঘুম ভাঙল সকলেরই। স্নান করে লাঞ্চ সেড়ে আশাপাশে কি আছে দেখার খোঁজ নিতে বেরোলাম। বেশ একটু ঘোরা ফেরা করে মোটামুটি দরদাম করে একটা অটোতে করেই চললাম ডোলুলেক। প্রকাণ্ড যায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই লেকের গল্প বলার আগে বলি রওনা দেওয়ার মিনিট দশেক পড়েই শহর ছাড়িয়ে অটো গিয়ে পড়ল পাহাড়ি রাস্তায়, বিচিত্র রঙের টিলা এগুলো। কোথাও লাল, কোথাও সাদা, কোথাও ধূসর আবার কোথাও কালো। বিচিত্র রঙের মিশেল। আরো মিনিট পনেরো পরে অকস্মাৎ দৃশ্যের বদল ঘটল। দৃশ্যপটে তখন সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় ততদূর কেবল ই সবুজ। চা বাগানের দিগন্ত বিস্তৃত সবুজায়ন। কি অপূর্ব শোভা প্রকৃতির, কি বিচিত্র সাজ। পথের মাঝেই অটো থামিয়ে আমরা ঢুকে পড়লাম ডোলু টি এস্টেট এ। আমাদের স্বাগত অভ্যর্থনা জানালো প্রায় কয়েকশো লালমুখো বাঁদর। নাহ আর রিস্ক নিইনি। প্রাণের মায়া বলেও তো একটা কথা আছে বলুন। ঝটপট দু চারটে ছবি তুলে বেড়িয়ে এলাম বাগান থেকে। এরপর আর কোত্থাও থামিনি। যখন ডোলু লেক পৌঁছালাম তখন বেশ বিকেল। ঘাটের বুকে পানসী ভাসিয়ে মাছ ধরছে এক জোয়ান। লেকের পাড় ধরে ধরে ঘাটে স্নান করছে মেয়েরা। জলের এক ধারে ফুটেছে শালুক। লেকের জলে তখন সূর্যের অস্তরাগ। এ যেন পল্লী বাংলার সেই সজল কালো দীঘি। গাছের ছায়ার আলো আঁধারী। এই তো আমার বাংলা। না এ বাংলা নয়। আসাম। কাছেই বাংলাদেশের বর্ডার। তাই এখানে একাধারে মিলে মিশে আছে দুই বাংলা। আর মাঝে শিলচর। ফেরার পথে চা বাগানের কোলে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে ফিরে এলাম হোটেলে। কালকের দিনটা শুধুই পড়াশোনা। পরশু পরীক্ষা।
৪ঠা ফেব্রুয়ারি
অটো আগে থেকেই বলা ছিল। সকাল বেলায় বেড়িয়ে পড়লাম। গন্তব্য আসাম ইউনিভার্সিটি। আগে থেকেই সুপ্ত ইচ্ছা ছিল ঘুরে দেখার। গল্প শুনেছিলাম অনেক। এবার সেই সুযোগ এলো। ইউনিভার্সিটির ভেতরে নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এ ছেলে মেয়েদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ছিল প্রায় ১০ টি বাসের ব্যবস্থা। বোঝাই যাচ্ছে এ এক রাজকীয় বন্দোবস্ত। বিশাল ক্যাম্পাস। আর প্রতিটি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এক একটা ডিপার্টমেন্ট। তার মধ্যেই কোথাও কোথাও ফুল বাগান। কোনো পাশে বিশাল খাত। পাহাড়ের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ডিপার্টমেন্ট গুলো পেড়িয়ে পিচ রাস্তা ধরে বাস এসে পৌঁছালো আমার নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এ। ইউনিভার্সিটির বিশালতা একটু হলেও বোঝাতে পারলাম কি! এখানে একটা মজার ব্যাপার হয়েছিল আমি দীর্ঘ পথ হেঁটেও এই বৃহৎ ক্যাম্পাসের কোনো কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমার এক বন্ধু ফেরার সময় দেখিয়ে দিলো একটা শর্টকাট রাস্তা। সে প্রায় ২০০ সিঁড়ি ভেঙে নামলাম এক গিরিখাতে, মাঝারি একটা ব্রীজ পাড় হয়ে আবার ২০০-২৫০ সিঁড়ি ভেঙে উঠে এলাম ক্যাম্পাসের অন্য প্রান্তে। এরপরও প্রায় মিনিট কুড়ি হেঁটে এসে পৌঁছালাম মেন গেটে। কাগজ ফুল, নানা মূর্তি, অজস্র সবুজের সমারোহে আসাম ইউনিভার্সিটি যেন এক অপরূপ ভ্রমণ যোগ্য স্থান। তাই শিলচরের গল্পে একথা না বলে পারলাম না। ফেরার জন্য অটো বলা ছিলনা। শেয়ার ট্রেকার চেপে অর্ধেক রাস্তা প্রায় কাঁদোকাঁদো অবস্থায় এসে পৌঁছে বাকি হাফ রাস্তা অটো করে হোটেল এসে পৌঁছালাম।
৫ই ফেব্রুয়ারি
বেশ স্ফূর্তির মেজাজে আমরা সকাল সকাল তৈরী হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম বাজারে। ঘুরে ঘুরে এটা সেটা দেখে শুনে রাস্তার এক যায়গায় বসে খেলাম গরমগরম হাতে বানানো রুটি আর ডাল। এরপর আবার খোঁজ নিয়ে এপথ ওপথ জিজ্ঞাসাবাদ করে অটো নিয়ে চলে গেলাম আই.এস.বি.টি বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে বাসে চেপে পৌনে এক ঘন্টা পর নামলাম বদরপুর ফোর্টের সামনে। বদরপুর স্টেশন থেকে ১৬ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই ফোর্টটি স্থাপিত হয়েছিল মুঘল আমলে। পূর্বে সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বর্তমানে এটি আসামের করিমগঞ্জ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। বা বারাক নদীর ধার ঘেঁষে বেশ খানিকটা উচ্চতায় এই দূর্গ আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। ঢোকার মুখে তোরণ দ্বার আজও টিকে আছে। টিকে আছে মূল দূর্গের বহিরাবরণ। আমরা গিয়ে বসেছিলাম পাহাড়ের ঢালু এক পাড়ে। যেখান থেকে গড়িয়ে গেলে সোজা বরাক নদী। দেওয়ালে কান পেতে শুনলাম কান্না। পাথরেও প্রাণ আছে। মূক ইতিহাস যেন বাঙ্ময় হয়ে উঠতে চায় দূর্গের টিকে থাকা প্রতিটি প্রকোষ্ঠে। তবুও এ পথ ছেড়ে ফিরতে হয় একদিন। আজ হয়ে যায় ইতিহাস। কাল আগামী।
৬ই ফেব্রুয়ারি
আজ আগে থেকেই ঠিক ছিল খাসপুর যাবো। পথে ঘুরে যাবো কাঁচা কান্তি কালী মন্দির। শিলচর থেকে প্রায় ১১ কিমি দূরে এই মন্দির অবস্থিত। ডোলুলেক যাওয়ার সেই পুরোনো রাস্তাটা ধরেই আমাদের অটো রওনা হলো। এরপর বেশ খানিকদূর গিয়ে অন্য রাস্তা ধরে এলাম কাঁচা কান্তি কালী মন্দিরে। সত্যি কাঁচা সোনার মতোই মায়ের গায়ের রঙ। মা দূর্গা ও মা কালী এই কাঁচা কান্তি মায়ের মধ্যে লীন হয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত ১৮০৮ সালে কাছাড়ি রাজা এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। প্রায় ১৮১৮ অব্দি এই মন্দিরে নির্বিবাদে চলত নরবলি। আজ নরবলি হয়না বটে কিন্তু বলি হয়। আমরাও শুনলাম, আমাদেরও শুনতে হলো আকাশবাতাস বিদীর্ণ করে বলি প্রদত্ত পশুর চীৎকার, অপরদিকে মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি মনকে একাধারে শিহরিত ও বিষণ্ণ করে দিল। তারপর একসময় সব চুপ। সেই চিকচিক রোদ। নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি। লোকেদের হুটপাট দূড়দাড়ে চাপা পড়ে গেল মৃত্যুর যন্ত্রণা। ১৯৭৮ সালে পুনরায় প্রতিস্থাপিত এই মন্দির ছেড়ে রেখে আমরা এগিয়ে গেলাম খাসপুরের পথে। খাসপুর গ্রামে মনোরম প্রকৃতির কোলে দিগন্ত বিস্তৃত জমি কাছাড়ি রাজাদের। আর গ্রামের শেষ প্রান্তে আছে বারদুয়ারি কালী মন্দির। বেশ অনেকটা ভেতরে এটি। তাই নানা লোককে জিজ্ঞেস করে করে এসে পৌঁছালাম এই পাহাড়ে। ১০১ সিঁড়ি হেঁটে উঠে এলাম মন্দিরে। সামনে ছড়িয়ে আছে বলির রক্ত। শুকিয়ে গেছে মাটিতে। মোমবাতি জ্বালিয়ে চারপাশে তাকাতেই গা টা ছমছম করে উঠল। মূল গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে এই মন্দির। দূরদূরান্ত পর্যন্ত কোনো জনমানব নেই। মন্দিরের পিছন দিকে হেঁটে যেতেই পেলাম একটা ঢালু রাস্তা, চলে গেছে সোজা জঙ্গলে। আর একটু নীচে বিশাল গাছ থেকে ঝুড়ি নেমেছে অনেক। আরো নীচে পাহাড়ি ঝরনার জল এসে জমা হয়। সেখান দিয়ে ক্ষীণ ধারায় একটা জল পড়ছে ক্রমাগত। এরপর সাহস করে ঢুকেই পড়লাম জঙ্গলে। সেদিনের সেই অভিজ্ঞতা সত্যিই লিখে বোঝানো যাবেনা। গাছে গাছে জড়িয়ে যাচ্ছে, নীচে কাঁটা ওপরে ডাল, পোকামাকড়ের ডাক, সাপের গর্ত সেখানে দিনের এতটুকু মাত্র আলো ঢুকছে, এতটাই অন্ধকার সে জঙ্গল। সেদিনের সেই বিভীষিকা মনে করে শিউড়ে উঠলাম আর একবার। কিন্তু সেই রোমাঞ্চ টাও ছিল অভিনব। এ যেন মৃত্যু কে জয় করা। এরপর ফিরে এলাম গ্রামের মধ্যিখামে কাছাড়ি রাজাদের জমিতে। একসময় এখানে রাজ প্রাসাদ ছিল। ছিল বাগানবাড়ি। খাসমহল। পূজাঘর। অন্দরমহল। বারদুয়ারি। আজ আর সেসব কিছুই নেই। বোঝার উপায়ও নেই কোথায় ঠিক কি ছিল। ১৬৯০ সালে নির্মিত এই রাজবাড়ী র সিংহদ্বার, সূর্যদ্বার, দেবালয়, পরিখাবেষ্টিত একটি স্থাপত্য, বেশ কিছু পাঁচিল, তুলসী মঞ্চ সেদিনের বিপুল ঐশ্বর্যের প্রমাণ স্বরূপ দাঁড়িয়ে আছে অমলিন। এই বিস্তৃত প্রান্তরের এক দিকে মন্দিরের গায়ে একসময় আছাড় খেলো ক্লান্ত সূর্য। দীর্ঘদিনের অবিশ্রাম টীকে থাকার শ্রান্তি মেখে দাঁড়িয়ে থাকা স্থাপত্য কে বিদায় জানিয়ে আমরা ফিরে এলাম ছোট্ট শহর শিলচরে। এবার ঘরে ফেরার পালা।
কিছু কথা
এই ট্যুরটা মোটামুটি ২দিনেই করা সম্ভব। প্রথমদিন ডোলুলেক, চা বাগান, কাঁচাকান্তি কালী মন্দির, খাসপুর ও বারদুয়ারী কালী মন্দির। আর দ্বিতীয় দিনে বদরপুর ফোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরতে চাইলে আরো একটা দিন বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এখামে ভুবন পাহাড়ে জাগ্রত ভুবনেশ্বর মন্দির আছে কিন্তু সে পথ এতটাই দুর্গম ও বিপদসংকুল যে সাধরণ মানুষ আমাদের যেতে দেননি। প্রায় ১৭ কিলোমিটার হেঁটে সেই মন্দিরে যাওয়া যায়। একমাত্র শিবরাত্রি সময় এই মন্দিরে যাওয়া যায়। এর সাথেই দেখে নেওয়া যায় মণিহরণ সুরঙ্গ।
এখান থেকে চলে যাওয়া যায় মিজোরাম, ইম্ফল বা কোহিমা। তার জন্য আলাদা পারমিশন লাগে। এছাড়া যাওয়া যায় ত্রিপুরা, ঊনোকোটি মন্দির। এখানে বেড়াতে খুব কম মানুষ আসে। তাই ঘোরার ব্যবস্থা নিজেকেই করে নিতে হবে। প্রায় কারুরই যায়গার দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা নেই। যেমন আমরা পুরোপুরি গুগলের ওপর ভরসা করে ডোলুলেক গেছিলাম। আর খাসপুরের রাস্তায় লোকাল মানুষদের গাইডেন্স দারুণ কাজে লেগেছে। তাহলে আর কি একটা ছোট্ট অফবিট ট্যুর হয়ে যাক!!
Comments are closed.