শিলচর সিভিল হাসপাতাল বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য ১০ শয্যার ওয়ার্ড, কায়াকল্পের অর্থে হচ্ছে আরও উন্নয়ন, জানালেন দিলীপ পাল
শিলচর সিভিল হাসপাতালকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলতে কায়াকল্প প্রকল্পে পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সিভিল হাসপাতালের কর্মীদের ইনসেনটিভ হিসেবে দেওয়া হবে । সোমবার বিকেলে সিভিল হাসপাতালে বিধায়ক তথা হাসপাতালের চেয়ারম্যান দিলীপ পালের সভাপতিত্বে গভর্নিং বডির বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিলচর সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতালে প্রবীণ নাগরিকদের সুচিকিৎসার জন্য ১০ শয্যা বিশিষ্ট আলাদা একটা ওয়ার্ড চালু করা হবে, হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ লক্ষ টাকা, ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে অত্যাধুনিক একটি এম্বুলেন্স ক্রয় করা হবে; বাকি টাকায় নতুন একটা ট্রান্সফর্মার বসানো হবে, হবে বাগান পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। গতকালের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিধায়ক এই প্রসঙ্গে জানান, ইতিমধ্যে হাসপাতালে আধুনিক সুযোগসুবিধাসম্পন্ন চারটি পেইং কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগকে আরও সম্প্রসারিত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। তিনি জানান, সিভিল হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক এবং চক্ষু বিভাগ নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে, তবে খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে। শিলচর সিভিল হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে কর্মী সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানান বিধায়ক।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ সুদীপজ্যোতি দাস, হাসপাতালের সুপার ডাঃ আশুতোষ বর্মন, পূর্ত বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার মধুমিতা দে, রাজদীপ চক্রবর্তী, ডাঃ পিকে রায়, ডাঃ অজিত কুমার ভট্টাচার্য প্রমূখ।
Comments are closed.