কাছাড়ে এক দিনে কোভিড আক্রান্ত ১০০ পার করল, মোট পাঁচশোর কাছাকাছি
গতকাল কাছাড় জেলায় একই দিনে ৯২ জন ব্যক্তি পজিটিভ হয়েছিলেন, সেটা ছিল এই বছরের একদিনে সবথেকে বেশি। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একেবারে সেঞ্চুরি করল করোনা ভাইরাস। রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অর্থাৎ বিগত ১৮ ঘন্টার কাছাড় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩ জন ব্যক্তি। এর মধ্যে রয়েছেন ৬ জন বিমানযাত্রী। এর সঙ্গেই জেলায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি। তবে এদিন জেলার কোনও ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। বেশ কয়েকজন সংকটাপন্ন অবস্থায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এদিন রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৭৯ জন এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ২৪ জন ব্যক্তির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদিন ৩৪৯ জন বিমান যাত্রী শিলচরে ফিরেছেন এর মধ্যে ২৫৯ জনের পরীক্ষা বিমান বন্দর সংলগ্ন সরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে এতে ছয়জন পজিটিভ হয়েছেন।
শুক্রবার রাত বারোটা পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮৯। শনিবার আরও ১০৩ জন পজিটিভ হওয়ায় এই সংখ্যা প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি এদিন কতজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন, অর্থাৎ কতজন আক্রান্তের রেজাল্ট নেগেটিভ হয়েছে। ফলে চূড়ান্ত সংখ্যা এখনও পরিষ্কার নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন কোনও জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ অতিক্রম করলে সেখানে বিধি-নিষেধ আরও কঠোর করা হবে। যদি সেটা এক হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে লকডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে। কাছাড় জেলায় করোনা ভাইরাস যে গতিতে এগোচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১০০০ অতিক্রম করবে না এটা বলা যায়না।
বরাক উপত্যকার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হিসেবে শিলচর মেডিকেল কলেজেই রয়েছে আইসিইউ পরিষেবা। সেখানে ৪০ টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে, তার অনেকটাই ক্রিটিক্যাল রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, আগামীতে আইসিইউ ওয়ার্ড পুরোপুরি ভরে যাওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। সেই ক্ষেত্রে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের মোট ১৯টি অতিরিক্ত আইসিইউ এই পরিষেবায় কাজে লাগতে পারে, হাসপাতালে পক্ষ থেকে এটুকু জানানো হয়েছে।
শিলচর মেডিকেল ছাড়া সিভিল হাসপাতাল, সেনা হাসপাতাল এবং বেসরকারি গ্রীন হিলস হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। উপসর্গ না থাকা রোগীদের আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসা হচ্ছে তবে সেক্ষেত্রেও অনেকের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে এবং তড়িঘড়ি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
Comments are closed.