দিন দুপুরে দুটো ঘটনায় ছিনতাই সর্বমোট ১১ লক্ষ, তারাপুরে ধরা পরল ঝাড়খণ্ডের রাজ রায়
প্রকাশ্য দিবালোকে আজ আবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো শিলচর শহরে। এক ঘন্টা ব্যবধানে আজকের দুটো ঘটনা ঘটে তারাপুর এবং সার্কিট হাউস রোড এলাকায়। আজকের দুটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুই দুস্কৃতির মধ্যে একজনকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে সমঝে দেয় জনগন। অপর দুষ্কৃতী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী,দুপুর পৌনে একটা নাগাদ গীতাঞ্জলি হোটেলের ম্যানেজার রাজদেও সিংহ ওরফে রাজু সিং স্টেট ব্যাংকের তারাপুর শাখা থেকে ৭ লক্ষ টাকা তুলে স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন। তারাপুর অন্নপূর্ণা মিষ্টান্ন ভান্ডারের কাছে আসতেই পেছন থেকে ওনার শার্টের কলার ধরে ওকে স্কুটি থেকে ফেলে দেয় পালসার বাইক নিয়ে আসা দুই ছিনতাইকারী এবং সাত লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়; ওনার হাতে এবং পায়ে প্রচন্ড চোট লাগে। আহত হওয়ায় ছিনতাইবাজের পিছু ধাওয়া করতে সক্ষম হননি তিনি।
প্রায় এক ঘন্টা পর দুপুর দুটো নাগাদ দ্বিতীয় ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। রামনগরের তিরুপতি লজিস্টিকের লজিস্টিকস সুপারভাইজার মুকেশ দাস এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক থেকে দু লক্ষ টাকা তুলেন, ব্যাগে আগের আরো দু লক্ষ ছিল অর্থাৎ সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা ব্যাগে রাখা ছিল। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে এই চার লাখ টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। স্কুটিতে করে সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সার্কিট হাউসের কাছে আসতেই দুই ব্যক্তি বাইকে চড়ে এসে ওদের টাকার ব্যাগটা ছিনতাই করে নিয়ে যায়, ওরা স্কুটি নিয়ে পিছু ধাওয়া করেন। “লায়ন্স ক্লাব পয়েন্ট পৌছে ছিনতাইবাজদের পালসার বাইকটা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়, সাথে সাথে ব্যাগ ফেলে দুজন দুদিকে পালায়। ব্যাগটা নিয়ে আমরা একজনের পিছু ধাওয়া করি, স্থানীয় জনগণের সহায়তায় একজনকে ধরা হয়। ব্যাগের ভেতর থেকে আমরা দু লাখ টাকা পাই, বাকি দু’লাখ গায়েব ” আমাদের প্রতিনিধিকে জানালেন মুকেশ দাস।
ধৃত দুষ্কৃতীকে ধরে তারাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। তার পালসার বাইকের নাম্বার হচ্ছে AS01 DB 7618 , এটি গুয়াহাটির সুধীর গিরির নামে রেজিস্ট্রিকৃত। দুস্কৃতির কাছ থেকে উদ্ধার করা ড্রাইভিং লাইসেন্সে নাম ছিল রাজ রায়, পিতার নাম বানি রায়, হনুমান নগর, বুটি, রাঁচি, ঝাড়খন্ড। ধৃত ব্যক্তিকে পরে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃত ছিনতাইকারী প্রথম ছিনতাইয়ের ঘটনায়ও জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত ভাবে জানিয়েছেন রাজু সিং ।
এতদিন পর অন্তত একজন ছিনতাইকারী ধরা পড়ায় আশা করা যাচ্ছে সঠিক তদন্তে এই চক্রের বাকি সব দুষ্কৃতী ধরা পড়তে পারে।
Comments are closed.