Also read in

নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল 'বরাক বনধ' ডাকলো বিভিন্ন সংগঠন

 

গতকাল তিনসুকিয়া জেলার ধোলাতে বর্বরোচিতভাবে পাঁচ বাঙালি নিধনের ঘটনায় বরাক উপত্যকায় কাল রাত থেকেই এক শোকের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আজ বিকেলে বিভিন্ন সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিলে সামিল হয়; এই মিছিল শহরের ক্লাব রোডের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে রাঙ্গিরখাড়ি নেতাজি মোড় পর্যন্ত যায়।

ইতিমধ্যে শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটি কাছাড় জেলায় কাল ১২ ঘন্টার বনধের আহ্বান করেছে, হাইলাকান্দি কংগ্রেস কমিটিও হাইলাকান্দিতে বনধের আহ্বান করেছে। এদিকে, আকসা এবং রাষ্ট্রবাদী যৌথ মঞ্চ পুরো বরাক উপত্যকায় সকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত বারো ঘন্টার বনধ ডেকেছে।

গতকালের এই নৃশংস হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আজ তিনসুকিয়াতে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন। স্থানে স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে এবং মিছিল করে বনধ সফল করে তোলার প্রয়াস চলছে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনার খবর নেই।

জেলা প্রশাসন অথবা রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত বরাক বনধের বিরোধিতায় কোনও ধরনের তৎপরতা দেখায়নি। কয়েকদিন আগে ৪৬টি সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টার আসাম বনধের সময় রাজ্য সরকার শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, সরকারও মনে করছে আগামী কালকের বনধ সম্পূর্ণ সফল হবে, এমনটাই জানালেন এক সরকারি আমলা।

আজকের প্রতিবাদী মোমবাতি মিছিল এবং ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশও বেশ জোরদার হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র রাজিব কর আমাদের জানালেন, এই মুহূর্তে আসামে এক সংকটজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এবং এই পরিস্থিতিতে সকলকেই কিছু বলা বা লেখার আগে ভেবে চিন্তে তা করা উচিত‌।এই পরিস্থিতিতে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি আরো বললেন, সাধারণ জনগণ স্বাভাবিকভাবেই আহত, দুঃখিত এবং রাগান্বিত। তারা মনে করছেন সরকার তাদের সাথে প্রতারণা করেছে।

Comments are closed.