রবিবার ৪ জন সহ জেলায় মোট ১৪ পুলিশকর্মী এখন পর্যন্ত পজিটিভ, জানালেন পুলিশ সুপার বিএল মিনা
সাধারণ মানুষ ছাড়া এতদিন বিভিন্ন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা পজিটিভ হচ্ছিলেন। দু’একজন পুলিশ কর্মী পজিটিভ হলেও অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে এটা ছড়িয়ে পড়েনি। তবে গত তিন চার দিনে প্রায় ১৪ জন পুলিশ কর্মী কাছাড় জেলায় পজিটিভ হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন শিলচর সদর থানার ওসি দিতুমণি গোস্বামীও। রবিবার আরও চারজন পুলিশকর্মী রেপিড টেস্টিং কিটের মাধ্যমে পজিটিভ হয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার বিএল মিনা।
শনিবার দুপুরে এন্টিজেন টেস্টে শিলচর সদর থানার ওসি দিতুমনি গোস্বামী পজিটিভ হয়েছিলেন। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মরত পুলিশ কর্মীদের ধীরে ধীরে পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রেপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে। এতে রবিবার চারজন পজিটিভ হয়েছেন। পুলিশ সুপারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিতুমনি গোস্বামী ছাড়া আরও ১৩ জন পুলিশ কর্মী এখন পর্যন্ত পজিটিভ হয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই দুঃসময়ে আমাদের অনেক বেশি পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন। অবশ্যই প্রথম দিন থেকে পুলিশকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং এতেই কয়েকজন পজিটিভ হয়েছেন। তবে এতে আপাতত আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি না। বরং ধাপে ধাপে প্রত্যেক পুলিশকর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। যারা পজিটিভ পুলিশকর্মীর সংস্পর্শে গিয়েছিলেন তাদের আপাতত আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন শিলচরের কয়েকজন পুলিশ পজিটিভ হয়েছেন, ফলে আমরা শহরের বিভিন্ন থানার পুলিশদের পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছি। যেখানে প্রয়োজন হবে, বাইরে থেকে আধিকারিকদের শহরে স্থানান্তরিত করার কথাও ভাবছি আমরা। যদি আগামীতে আরও বেশি পুলিশকর্মী আক্রান্ত হন তাহলে আমাদের অন্য চিন্তা করতেই হবে। তবে পরিস্থিতি এখনো এতটা বিগড়ে যায়নি, ফলে আপাতত প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।”
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, একসঙ্গে সব পুলিশকর্মীর পরীক্ষা করানো হবে না। ধাপে ধাপে এই কাজটি এগিয়ে যাবে। পরীক্ষায় যদি কিছু পুলিশকর্মী পজিটিভ আসেন তাহলে তাদের চিকিৎসার জন্য পাঠাতেই হবে, এই ক্ষেত্রে সেখানে জায়গা পূরণের জন্য অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে একটা ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট, যেসব পুলিশকর্মীর জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় কোনও সমস্যা রয়েছে, তাদের পরীক্ষা করাতেই হবে। পাশাপাশি তাদের আইসোলেশনে থাকার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.