বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খাদে যাত্রীবাহী ক্রুজার, দুই শিশু সহ আহত ১৫
অাসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল গেইট থেকে পঞ্চাশ মিটারেরও কম দুরত্বে শুক্রবার চলন্ত লড়ির ধাক্কায় প্রায় ২০ ফুট গভীর খাদে পরে যায় এক যাত্রীবাহী ক্রুজার। এতে গাড়ির চালক এবং দুই শিশু কন্যা সহ ১৫জন আহত হয়েছেন।
বরাক উপত্যকার সড়কগুলি আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো এবং দ্রুতগামী চালকরা প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এদিন দুপুর একটার কাছাকাছি আসাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় দ্রুতগামী ক্রুজারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে অন্যদিকে মোড়ার সময় এবং উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লাগে। ধাক্কাটা এতটাই জোরালো ছিল যে ক্রুজারটি রাস্তা থেকে প্রায় ২০ ফুট নীচে একটি খাদে গিয়ে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এদিন দুপুরে তুফানের সময় ঘটনাটি ঘটে। তাঁরা ঘটনার সঙ্গেসঙ্গে পুলিশকে খবর দেন এবং আহতদের মেডিক্যালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ক্রুজারে ১৫ জন যাত্রী ছিলেন চালক এবং সহচালক মিলিয়ে এবং সবাই কম বেশি আহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। আহতদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শল্যচিকিৎসা বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকজনকে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। মেডিক্যাল সূত্র অনুযায়ী এলেংপুর এলাকার মিঠাইলাল রবিদাস ও হরিলাল রবিদাসের অবস্থা সংকটজনক। গাড়িতে দুইজন শিশুও ছিল, সারে তিন বছরের ফাতিমা এবং ছয় বছরের শবনম তাঁদের মা জলি বেগমের শিলচর থেকে হাইলাকান্দি যাচ্ছিল।
শিলচরের দিকে আসা ট্রাকটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে আরো ভয়ানক পরিস্থিতি হতো বলে আমাদেরকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান।এনআরসির বংশবৃক্ষ পরিক্ষার ডাক পেয়ে ৫০ বছর বয়সী গোপাল দাস রামকৃষ্ণনগরে যাচ্ছিলেন। একইভাবে বছর ছাপ্পান্নোর খাইরুননেছা বেগমও একই ক্রুজারে করে এনআরসির কাগজপত্র আনতে যাচ্ছিলেন। আগামী সপ্তাহে ডাক পরেছে তাঁর তাই জরুরি নথিপত্র সংগ্রহ করার তাগিদে কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যানসারে আক্রান্ত স্বামীকে রেখে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। আশা কর্মী অঞ্জনা দাস এবং বিনা দাসও দুর্ঘটনার ফলে আহত হন কিন্তু তারা বিপদমুক্ত।
এই দুর্ঘটনাটি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারতো তবে খাদের পাশে থাকা বাঁসের ঝোপে গাড়িটি আটকে যায়।
ক্রুজার এবং সুমো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে এবং প্রতিদিনের রুটিন হিসাবে পরিণত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে দ্রুতগতিতে চলা যানবাহনগুলির বিরুদ্ধে। এই দুর্ঘটনাগুলিকে আটকাতে কড়া মনোভাব নিতে হবে প্রশাসনকে, এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।
Comments are closed.