Also read in

৩২,০০০ হোল্ডিংয়ের মধ্যে ১৬,০০০ মালিক পুরকর দিচ্ছেন না, ৩১ আগস্টের পর কাটা হবে বিদ্যুৎ সংযোগ

শিলচরে পৌরসভা এলাকায় দোকান ঘর এবং বাড়ি মিলিয়ে প্রায় ৩২,০০০ হোল্ডিং রয়েছে। এরমধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ হোল্ডিং-এর মালিক দিচ্ছেন না পুরকর। সব মিলিয়ে শিলচর পৌরসভার পাওনা ৪,৮৩,৮৭,৫৭৯.৩১ টাকা । তাই এবার নড়েচড়ে বসছেন পুর কর্তৃপক্ষ।

এবার এই ১৬০০০ ডিফল্টার হোল্ডিংয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পৌরসভা। তবে তার আগে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শেষ সুযোগ দেওয়া হবে। ৩১ আগস্টের মধ্যে বকেয়া কর জমা না দিলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা। গতকাল অনুষ্ঠিত পুরবোর্ডের মিটিঙে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বোর্ড মিটিং শেষে পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুর জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ কাটার প্রস্তাব বোর্ড মিটিংয়ে গৃহীত হয়েছে। অনাদায়ী করের মধ্যে সিংহভাগ হলো প্রপার্টি টেক্স, আরবান ট্যাক্স, বেটারমেন্ট ফি প্রভৃতি । তাছাড়া যে সকল ব্যবসায়ীগণ তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ না করিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর বকেয়া থাকলে, মন্দির -মসজিদ, দলীয় কর্মী নেতারাও ছাড় পাবেন না বলে হুমকি দেন পুরপতি‌। তাছাড়া, এদের নাম ঠিকানা ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

এই বিশাল অঙ্কের অর্থ অনাদায়ী থাকায় পুরসভার কাজ কর্ম চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। পুরকর্মীদের বেতন দেওয়া তথা পরিষেবা মূলক কাজ কর্ম চালানোর জন্য আর্থিক অনুদান সরকারের থেকে খুব একটা পাওয়া যাচ্ছেনা, পুরসভার আয় থেকেই এসব চালাতে হবে, এই পরিস্থিতিতে বকেয়া কর আদায়ের জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না বলে জানান পুরপতি।

বকেয়া কর আদায় ছাড়াও পুর এলাকায় চলাচলকারী ই-রিক্সার ফি আদায় নিয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এ দিনের বোর্ড মিটিংয়ে। ডিটিও অনুমোদিত প্রায় এক হাজার ই-রিক্সা(টুকটুকি) শহরে চলাচল করছে, তাদের মালিককে প্রতি মাসে এবার থেকে ৫০টাকা করে দিতে হবে পুরসভাকে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!