Also read in

গৃহবধূকে বিধায়ক নিজামের ধর্ষণ! চাঞ্চল্য অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি বিধায়কের

এক যুবতী গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসলেন আলগাপুরের এ আই ইউ ডি এফ বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী । ভাটিরকুপা তৃতীয় খন্ডের উনিশ বছরের যুবতী গৃহবধূ হাইলাকান্দি সদর থানায় বিধায়ক নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় হাইলাকান্দি সহ রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাইলাকান্দির আরক্ষী অধিক্ষক মহনীষ মিশ্র, এডিশ্যনাল এস পি, সদর থানার পুলিশ, ইতিমধ্যে নির্যাতিতা মহিলাকে সাথে নিয়ে হাইলাকান্দি সার্কিট হাউসের সংশ্লিষ্ট কক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। হাইলাকান্দি পুলিশ বিধায়কের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিরর ৩৭৬/৩৪২/৩৪ ধারায় ৫২৯/১৮ নম্বরে মামলা নথিভুক্ত করে জোরদার তদন্ত শুরু করেছেন।

চাঞ্চল্যকর ওই মামলায় অন্য আসামী মহিলার স্বামী হাইলাকান্দির তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহিদ আহমেদ লস্কর ওরফে সাজন। যদিও বিধায়ক নিজাম উদ্দিন গুয়াহাটি থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ,গত উনিশ মে স্বামী সাজন তাকে সার্কিট হাউসে বিধায়ক নিজাম উদ্দিনের কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে যান। আর সেখানেই বিধায়ক তার সাথে অপকর্ম করেন।তিনি বাধা দিলে মুখচাপা দিয়ে বিধায়ক বলপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর ২৩ মে তার স্বামীর ঘরে ফের যান বিধায়ক এবং বাড়ির দ্বিতল ভবনে ফের ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা মহিলা আরও অভিযোগ করেন, বিধায়ক তাকে নিয়ে গুয়াহাটি যাওয়ার জন্য পনেরো জুন বিকেল চারটা নাগাদ তার ভাটিরকুপা বাড়িতে আসেন।তখন এনিয়ে বিস্তর বচসা হয়। তারপর ফিরে যান বিধায়ক। পর পর শ্লীলতাহানির ঘটনায় তার স্বামীও জড়িত বলে মহিলাটি পুলিশের কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন। এনিয়ে বিধায়ক নিজামের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাইলে স্বামী সাজন তাকে গৃহবন্দি করে রাখেন। যদিও শুক্রবার কৌশলে বাড়ি থেকে এসে পুলিশের দ্বারস্থ হন বলে জানান তিনি।  এদিকে বিধায়ক নিজাম উদ্দিন মহিলার উথ্থাপিত অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন,ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো।  বিধায়ক আরও বলেন,  সাজন আহমেদ  ও তার স্ত্রীর মধ্যে বহুদিন ধরে বিরোধ চলছিল।  এই ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সাজন ও তার স্ত্রী সার্কিট হাউসে এসেছিলেন।। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মহিলাকে হাতিয়ার করে মিথ্যা মামলা করে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন নিজাম উদ্দিন।

Comments are closed.