Also read in

করোণা: বদরপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভোররাতে আটক সন্দেহভাজন দুই যাত্রী

করোণা আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। বরাক উপত্যকাও তার বাইরে নয়। করোণা প্রতিরোধে দিনরাত এক হয়ে গেছে। গত রাতে সবাই যখন ঘুমে বিভোর, তখন বদরপুর রেল স্টেশনে সন্দেহভাজন দুই করোণা রোগীকে ধরার জন্য সতর্কে প্রহর গুনছিলেন পুলিশ এবং ডাক্তারের দল। সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তির সহযাত্রী ভারতীয় রেলওয়েতে টুইট করার পরই সতর্কতা অবলম্বন করা হয় বদরপুর রেল স্টেশনে।

১৫৬২৫ দেওগড় আগরতলা যাত্রীবাহী ট্রেনে ভ্রমণকারী এক যাত্রী ভারতীয় রেলওয়েতে টুইট করেন যে তার সহযাত্রী প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছেন, সঙ্গে রয়েছে ঘাড়েও ব্যথা। রেলওয়ে টুইটার অ্যাকাউন্টটি বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পূর্ব রেলওয়েকে ফরওয়ার্ড করে। তৎক্ষণাৎ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বদরপুর স্টেশনকেও জানানো হয়। এরপর পুলিশ এবং ডাক্তারদের পুরো দল ওই দুই যাত্রীকে ধরার জন্য সক্রিয় হয়। সূত্র থেকে জানা যায়, ট্রেন সকাল সাড়ে তিনটার দিকে বদরপুর স্টেশনে পৌঁছালে যাত্রীদেরকে আলাদা করে দেওয়া হয়। সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের পর দুজনকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে বরাক বুলেটিনের সংবাদদাতা শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া দুই রোগীর মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই রোগী গতি রায় সংবাদদাতাকে জানান,” আমরা বেঙ্গালুরু থেকে আসছি এবং প্রতিটি স্টেশনে আমাদের স্ক্রীনিং হচ্ছিল। আমি জানি না কেন তারা আমাকে আলাদা রাখছেন, কারণ রোগের কোনো লক্ষণ আমার মধ্যে নেই। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে আমার বন্ধুটির শ্বাসকষ্টের কিছুটা সমস্যা রয়েছে। আমাদের দুজনকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের দুটি আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের খাওয়ার জন্য এক গ্লাস জলও কেউ দেয়নি।” যদিও অন্য রোগী এবং প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো অফিসিয়াল কনফার্মেশন পাওয়া যায়নি।

Comments are closed.