করোনায় আক্রান্ত বিধায়ক মিহির সোম এবং প্রাক্তন পুরপতি নিহার ঠাকুর; শুক্রবার জেলায় পজিটিভ ২২৫
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন উদারবন্দের বিধায়ক মিহির কান্তি সোম এবং তার বড় ভাই। এদিকে শিলচর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুরও পজিটিভ হয়েছেন। কাছাড় জেলায় বৃহস্পতিবার ২২৫ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। এটি এখন পর্যন্ত জেলায় এক দিনের সর্বোচ্চ।
মিহির কান্তি সোম প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তার খানিকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় জ্বর দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ তিনি সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষা করান এবং এতে পজেটিভ রেজাল্ট আসে। সঙ্গে তার বড় ভাইয়েরও রেজাল্ট পজিটিভ হয়েছে। তিনি বাড়িতে না থেকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। খবরটি তিনি নিজেই ফোনে আমাদের জানান। তিনি বলেন, “এই সময়ে কখনোই বাড়িতে বসে ছিলাম না, বিধায়ক হওয়ার দরুন বিভিন্ন জায়গায় জনগণের কাছাকাছি পৌছুতে হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেই বিভিন্ন এলাকায় গেছি। এবার যখন ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে, ঘাবড়ে যাচ্ছি না বরং সচেতন হয়ে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে পরীক্ষা করতে বলে দিয়েছি। আমার কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে ফলে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছি।”
নীহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুর বলেন, “সম্প্রতি কিছুটা জ্বর এবং দুর্বলতা অনুভব করি। ডাক্তারের পরামর্শে অন্নপূর্ণাঘাট সংলগ্ন আরবান হেলথ সেন্টারে স্যাম্পল পরীক্ষা করাই, এতে রেজাল্ট পজিটিভ হয়েছে। আমার সঙ্গে আমার ছেলে পরীক্ষা করিয়েছিল, তার রেজাল্ট নেগেটিভ হয়েছে। আমি শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইছি। সেখানে বলিষ্ঠ চিকিৎসক রয়েছেন তাদের তত্ত্বাবধানে অতি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ফিরে আসব বলে আশা রাখছি।”
শুক্রবার কাছাড় জেলায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন মোট ২২৫ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যেক স্তরে অনেক বেশি পরীক্ষার অভিযান চলছে। রেপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষের পরীক্ষা হয়েছে। বুধবারের এপিসোড টেস্টের পরীক্ষায় ২১২ জন এবং আরটিপিসিআর টেস্টে ১৪ জন পজিটিভ হয়েছেন।’
Comments are closed.