শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হলোনা এনজিওপ্লাস্টি, অকালে ঝরে গেল সায়ন্তন
বয়স মাত্র ২৫ বছর এবং সে এখন আর এই পৃথিবীতে নেই । সকালে জানিয়েছিল সায়ন্তন চক্রবর্তী, প্রচন্ড বুকে ব্যথা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা সাথে সাথেই তাকে নিয়ে ছুটলেন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে; ডাক্তাররা জানালেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনজিওপ্লাস্টি করতে হবে। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেই মুহূর্তে এনজিওপ্লাস্টি সম্ভব নয়, তাই তারা শিলংয়ের নিগ্রিমস হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এনজিওপ্লাস্টি কোন বড় ধরনের অপারেশন নয়, শিরা-ধমনীতে রক্ত চলাচল সাবলীল করে দেওয়ার একটা পদ্ধতি মাত্র।
সায়ন্তনকে নিয়ে কিন্তু নিগ্রিমসে পৌঁছানো গেল না, পথেই সে চিরতরে চলে গেল। সায়ন্তনের কাকু বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী এবং কোরিওগ্রাফার সৌমিত্র শংকর চৌধুরি বললেন, ” সবকিছুই শেষ হয়ে গেল, শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় আমরা আমাদের ছেলেকে অকালে হারিয়ে ফেললাম। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিওপ্লাস্টি, নিউরোসার্জারি না থাকায় এরকম অনেক রোগী এম্বুলেন্স নিয়ে শিলং-গুয়াহাটি যাওয়ার পথে মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে; ভবিষ্যতের জন্য কিছু একটা ভাবা দরকার।”
সায়ন্তন চক্রবর্তী শিলচর কলেজিয়েট স্কুল থেকে পাশ করে রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজ হয়ে বাণিজ্যে স্নাতক হয়। বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্টাডিস থেকে সে এমবিএ পাস করেছিল। কলকাতায় প্রিষ্টিন কেয়ার নামের এক স্টার্টআপে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিল; শিলচর এসেছিল পরিবার-পরিজনদের সাথে দুর্গাপূজার উৎসবে শামিল হতে।
এমন ঘটনাপ্রবাহ সায়ন্তনের পরিবারের কাছে এক দুঃস্বপ্ন বয়ে নিয়ে এলো। আজ সকাল ছটায় তার মৃতদেহ শিলচর বাণীপাড়াস্থিত বাসভবনে নিয়ে আসা হবে, তারপর হবে শেষ বিদায়।
Comments are closed.