Also read in

উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ডেইজি পাঠক ডাক্তার হতে চায়, তার সাফল্যে বিধায়কের নগদ পুরস্কার ঘোষণা

আজ আসাম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিলচর সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক স্কুলের ডেইজি পাঠক বিজ্ঞান শাখায় ৫০০ র মধ্যে ৪৭৭ নম্বর (৯৫.৪%) পেয়ে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে বরাক উপত্যকাকে গর্বিত হওয়ার সুযোগ করে দিল। মেধা এবং কঠোর শ্রমকে সঙ্গী করে ডেইজি যে উদাহরণ তৈরি করল সেটার খুব প্রয়োজন ছিল বরাক উপত্যকার জন্য। কারণ আজকাল অনেকেরই ধারণা সরকারি স্কুলে পড়ে মেধাতালিকায় আসা সম্ভব নয়।

শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল ডেইজির এই সাফল্যে মিষ্টিমুখ করিয়ে অভিনন্দনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করার কথা ঘোষণা করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। বিধায়ক পাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বরাক উপত্যকার জন্য অবশ্যই একটি এটি একটি বিশেষ দিন এবং আশা করা যায় যে ডেইজির সাফল্য বরাক উপত্যকার সরকারি স্কুলগুলোর জন্য এক নতুন আশা তথা নতুন যুগের সূচনা করবে। অনুপম পাঠকের কন্যা ডেইজি বিধায়ক ছাড়াও শিক্ষকদের এবং অন্যান্য ছাত্রদের কাছ থেকেও তার এই সাফল্যে অফুরন্ত অভিনন্দন কুড়িয়েছে।

যাকে নিয়ে এত হুলুস্থুল সেই ডেইজি কিন্তু শান্ত গলায় খুব সংযতভাবে তার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করল। শিলচরের ডেফোডিলস স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করা ডেইজি জানালো যে সে আশা করেনি এত বড় সাফল্য আসবে। উচ্ছ্বসিত ভাবে বলল, “আমি এই ফলে অত্যন্ত খুশি। আসলে আমি যে মেধাতালিকায় আসবো সেটা আশা করিনি।”

পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করার ব্যাপারে ডেইজি জানালো, সে পুরো বই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়েছে এবং প্রত্যেক দিন নিয়ম করে তার পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। প্রত্যেকটা বিষয়কে সমান মর্যাদা দিয়ে পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করেছে।এই সাফল্যে ডেইজি মনে করে, তার মা-বাবা, শিক্ষক এবং তার মামা তাকে ভীষণ ভাবে সহযোগিতা করেছেন।

পড়াশোনার বাইরে ডেইজি আঁকতে খুব ভালোবাসে। একজন ভাল ডাক্তার হয়ে উঠতে চায় সে।তার এই স্বপ্ন সাকার করে তুলতে সে এখন নিজেকে উৎসর্গিত করতে চায়।

Comments are closed.

error: Content is protected !!