
কোভিড পজিটিভ ৩০ কর্মী, বন্ধ রেডক্রস, আতঙ্ক জনমনে
দিন দিন সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছে সীমান্ত জিলা করিমগঞ্জে । প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধারা । মঙ্গলবার পর্যন্ত করিমগঞ্জ রেডক্রসের ত্রিশ জন স্বাস্থ্য কর্মীর শরীরের কোভিডের জীবাণু ধরা পড়েছে । আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ ব্যাঙ্ক কর্মী । রেডক্রস কর্মীদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে । সূত্রের খবর মতে, ৮৬ জন রেডক্রস কর্মীর সোয়াব টেস্ট করানো হলে এখন অবধি সবার রেজাল্ট আসেনি শিলচর মেডিকেল কলেজে থেকে ।
মঙ্গলবার অবধি ৩০ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন । যার কারনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের সব পরিষেবা । করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি কোনো প্রচেষ্টাই কার্যকর হচ্ছে না এই জেলায় । এর মধ্যে রেপিড কিট মজুত নেই বলে অভিযোগ তোলেছেন খোদ উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ । প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জে। গত কয়েকদিন ধরে সরকারিভাবে আক্রান্তের যে হিসেব তুলে ধরা হচ্ছে এতে করিমগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাস ক্রমে গন সংক্রমনের চেহারাই নিয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সম্প্রতিকালে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসারত একটি শিশু ও তার মা উন্নত চিকিৎসার জন্য জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে রেডক্রসে ভর্তি হন । কিন্ত মা ও শিশুটির শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে সন্দেহবশত তাদেরকে করোনা টেস্ট করার পর পজিটিভ রিপোর্ট আসে । এরপর তাদের চিকিসার দায়িত্বে থাকা দুজন নার্স কোভিড উপসর্গ অনুভব করে নিজেদের ইচ্ছায় সোয়াব টেস্ট করান এবং তাদেরও রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়ে ।
এরপরই সবার মধ্যে এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । বাধ্য হয়ে রেডক্রস কতৃপক্ষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সব রোগীকে সোয়াব টেস্ট করানোর পরামর্শ দিয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেন । কতৃপক্ষের নির্দেশে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার কোভিড টেস্টের জন্য রেডক্রসের নার্স, অফিসকর্মী এবং আয়া সহ প্রায় পঁচাশি জন সোয়াব নেওয়া হয় । পঁচাশি জনের মধ্যে ৩০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানা গেছে হাসপাতালের সূত্র থেকে । আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সুত্র। জানা গেছে, রেডক্রসের আক্রান্ত ত্রিশ জনের মধ্যে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে আগের দুজন নার্স সহ তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে। কচুয়াধাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে পাঁচ জনকে এবং অন্যান্যরা রয়েছেন বদরপুর সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলে।
Comments are closed.