
চব্বিশ ঘন্টায় মেডিকেলে মৃত চার, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল
করিমগঞ্জ নিবাসী যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উনার চিকিৎসার জন্য এক বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি’ হয়েছে। অপারেশন প্রয়োজন হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি
এদিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, ১২ জুন বিকেল পাঁচটায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৫ জন রোগী সক্রিয় রয়েছেন। ৮২ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন, ১১৩ জন রোগী রয়েছেন কোভিড ওয়ার্ডে। ১৭ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন এবং ১৩৮ জন রোগীর অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।
এর আগের ২৪ ঘন্টায় ২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ২৮ জন রোগী ছাড়া পেয়েছেন। ১০ জন রোগী হোম আইসোলেশন নিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২৪ ঘণ্টায় চার জন রোগী মেডিক্যাল কলেজে প্রাণ হারিয়েছেন।
হাইলাকান্দি জেলার নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৮৪ বছর বয়স্ক পুষ্প রানী বিশ্বাস শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭ জুন এবং ১১ জুন রাত নয়টার সময় উনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কাছাড় জেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর ফখরুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া বিগত ৮ জুন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১১ জুন রাত নয়টায় উনার মৃত্যু হয়।
কাছাড় জেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার ৭২ বছর বয়স্ক এস কুল চন্দ্র শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬ জুন। তিনি ১২ জুন সকাল ১১ টায় করোণা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারান ।
কাছাড় জেলার ভাগাবাজার এলাকার ৬০ বছর বয়স্ক আলা উদ্দিন বড় ভূঁইয়া শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১০ জুন। তিনি ১২ জুন বিকাল ২-৫০ মিনিটে করোণা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারান ।
Comments are closed.