১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে ছাড়া পেলেন শিলচর মেডিকেল কলেজের করোনা রোগীর পাঁচ চিকিৎসক, উষ্ণ সংবর্ধনা
কাছাড় জেলার ৪২ জনের মধ্যে প্রথম পাঁচ জন চিকিৎসক ডাঃ ভাস্কর নাথ, ডাঃ নীলাঞ্জন ঠাকুর, ডাঃ সূর্যব্রত চৌধুরী, ডাঃ নিশান্ত ঠাকুরিয়া এবং ডাঃ প্রসেনজিত রায়কে বুধবার ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে উষ্ণ সংবর্ধনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেড়ে দেওয়া হল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, সাংসদ ডক্টর রাজীব রায়, উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল, জেলাশাসক বর্ণালী শর্মা, শিলচর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার বাবুল বেজবড়ুয়া সহ অন্যান্যরা। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন করোনা রোগীর চিকিৎসা করার পর প্রটোকল অনুযায়ী ঐ ডাক্তারদের গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় কাছাড় ক্লাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ৩১ শে মার্চ আসামের প্রথম কোরোনা রোগী শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনাক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরো দুজন রোগীকে শিলচর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। এদের সাত দিন চিকিৎসা প্রদানের পর করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির এই যোদ্ধা সর্বমোট ৪২ জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে একজন চিকিৎসক জানান, সরকারি নীতি নির্দেশিকা মেনে পরিবার থেকে দূরে একটি রুমে এতোদিন একা কাটানো হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি, তবে এখন সবাই খুবই খুশি।
মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে নিবেদিতপ্রাণ, অকুতোভয় এই যোদ্ধাদের পেয়ে আশীর্বাদ ধন্য মনে করছি।’
সাংসদ রাজদীপ রায়, যিনি নিজেও একজন ডাক্তার, জানান, পরিবার-পরিজন থেকে এতোদিন দূরে থাকা খুবই কঠিন কাজ, তিনি তাদের মনের অবস্থা অনুভব করতে পারছেন। তবে চিকিৎসকদের প্রাথমিক কাজই হচ্ছে রোগীর সেবা করে যাওয়া। অনুষ্ঠানে জেলা উপায়ুক্ত বর্ণালী শর্মা ও সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
Comments are closed.