Also read in

মিজো সীমান্তে এলো ৬ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৪ প্লাটুন ব্ল্যাক প্যানথার কমান্ডো; কাছাড়ে বনধ সর্বাত্মক

অসম মিজোরাম সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা কঠিন করে দেওয়া হয়েছে। কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ বাহিনী সীমান্তে কাজ করবে এবং তারা এদিক থেকে সাহায্য করবেন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত লায়লাপুল সীমান্তে সিআরপিএফ বাহিনীর ৬টি কোম্পানি পাঠানো হয়েছে এবং অসম পুলিশের ব্ল্যাক প্যান্থার কমান্ডোর ৪টি প্লাটুন এসে পৌঁছেছে। এলাকায় আপাতত সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কেননা যেকোনো সময় দুষ্কৃতিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছে। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি এলাকা থেকে আসা কিছু মাল-বোঝাই গাড়ি অসমের দিকে আটকে রয়েছে। তবে মিজোরামে গিয়ে যেসব গাড়ি আটকা পড়েছিল সে গুলোকে অসমে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।

লায়লা পুর থানার ওপারে কোন সাধারণ মানুষকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সুরক্ষা বাহিনীর দলগুলো একে একে আসছে এবং নিজেদের জায়গা মত পাহারার দায়িত্ব নিচ্ছে। বাহিনীর এক সদস্য বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জওয়ানদের অসম-মিজোরাম সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে আগামীতে আরও জওয়ানরা আসবেন। যে এলাকায় গুলি চালানো হয়েছিল সেদিকে আপাতত সাধারণ মানুষকে আমরা যেতে বারণ করছি।”

সোমবার বিকেলে মিজোরাম এবং অসমের সীমান্তে গুলি চালানোর ফলে এখন পর্যন্ত অসমের ৬ জন পুলিশকর্মী নিহত হয়েছেন। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অনেকেই প্রতিবাদ শুরু করেছেন বরাক উপত্যকা সহ সারা রাজ্যের মানুষ। বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট সহ কয়েকটি সংগঠন মিলে হত্যালীলার বিরুদ্ধে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকে। বুধবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাছাড় জেলার মানুষ সেই বনধ সমর্থন করেছেন।

কাছাড় জেলায় যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে এর প্রভাব পড়েছে মিজোরামের দিকে যাওয়া বিভিন্ন গাড়ি গুলোর উপর। কাবুগঞ্জ, নতুন বাজার, ধলাই লায়লাপুর ইত্যাদি এলাকার যেসব লোকেরা মিজোরামে বিভিন্ন জিনিস পৌঁছে দিতেন, তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রয়োজনে অন্য কাজ খুঁজে নেবেন কিন্তু মিজোরামকে সমর্থন করবেন না।

যারা বনধ ডেকেছে, তাদের সংগঠনের সদস্য না হয়েও বুধবার অনেকে এর সমর্থনে রাস্তায় নামেন। কাবুগঞ্জ এলাকায় রাস্তার মাঝখানে ব্যারিকেট লাগিয়ে বনধ সর্বাত্মক করার কাজে লাগেন স্থানীয় গাড়ি চালকরা। তারা বলেন, “এই সময়ে সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে মিজোরামকে বুঝিয়ে দেওয়া যে আমরা শুধুমাত্র তাদের উপর নির্ভরশীল নই। ভারতীয় রাজ্যের নাগরিক হয়ে মিজোরামের সাধারণ মানুষ অসমের পুলিশের উপর বন্দুক চালালেন, এটা একেবারেই মেনে নিতে পারছিনা আমরা। যাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মনে কতটা যন্ত্রনা এটা মিজোরামের লোকেরা বুঝতে চাইছেন না। বরং তারা এই ঘটনার পর উল্লাস করছেন, এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে। এবার আমরা তাদের পুরোপুরিভাবে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

Comments are closed.