হীরক জয়ন্তীতে তরুণ ক্লাব, পরিবেশ বান্ধব বিশাল মন্ডপ, সম্পূর্ণ মাটির প্রতিমা এবারও দর্শক টানবে
শিলচরের পুজো দেখতে গেলে সোনাই রোডের তরুণ ক্লাবের পূজো মিস করা যায় না। বিগত বছরগুলোতে বৃদ্ধাশ্রম, বাহুবলি এরকম থিম নিয়ে ওরা সাড়া জাগিয়েছিলেন। তা, এবছর ওদের পরিকল্পনা কি একটু জেনে নেওয়া যাক।
পুজো কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন রণজিৎ রায় সম্পাদক গোলাপ রায় কোষাধ্যক্ষ মিলন কংস বণিক ও রাজেশ রায়। পরিবেশ বান্ধব বাঁশ, বেত, কাঠ ও প্লাই দিয়ে ৫০ ফুট প্রশস্ত এবং ৬০ ফুট উঁচু কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ এবং সম্পূর্ণ মাটির মূর্তি এবার মূল আকর্ষণ। সাধারণ সম্পাদক গোলাপ রায় আমাদের জানালেন, “আমাদের দুর্গা প্রতিমা শুধু মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, বস্ত্র অলংকার ছবি মাটির । প্রতিমা বানাচ্ছেন করিমগঞ্জের ‘প্রতিমা শিল্পালয়’ এর স্বপন পাল। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও তিনদিনই অন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকছে”।
প্রত্যেক বছরের মতো এবারও হলিক্রস স্কুলের সামনে উঁচু আলোকোজ্জ্বল গেট রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে পুরো এলাকাজুড়ে থাকছে আলোকসজ্জা।
এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে, সেই বৎসরের প্রতিমা নির্মাতা অমূল্য পালের হাতেই উদ্বোধন হবে এবারের প্রতিমার। পঞ্চমীতে উদ্বোধনে থাকবেন বিগত দিনের অনেক কর্মকর্তারা। সাথে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগমনী সহ নৃত্য সঙ্গীত এবং কচিকাঁচাদের অনুষ্ঠান থাকছে এতে।
পুজোর বাজেট প্রসঙ্গে গোলাপ রায় আমাদের জানালেন, “দেখুন লম্বা-চওড়া হিসেব দিয়ে লাভ নেই, গতবারের মতো এবারও আমাদের বাজেট ১৫ লক্ষ। করিমগঞ্জের প্রীতম দাসের তত্ত্বাবধানে আমাদের স্থানীয় লোকেরা স্থানীয় জিনিসপত্র দিয়ে প্যান্ডেল বানাচ্ছেন। তাই তুলনায় স্বল্প বাজেটে ও আমাদের পূজো শিলচরে সব সময় প্রথম সারিতে থাকে। বৃষ্টির জন্য আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে ; ভেতরের কাজ তো ঠিকই চলছে, কিন্তু বাইরের বাঁশ-বেতে বার্নিশ করতে না পারলে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে না। মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করছি যাতে বৃষ্টিটা তাড়াতাড়ি উঠিয়ে দেন।’
এই প্রার্থনা এখন সবারই, বৃষ্টিটা যেন সরে গিয়ে আকাশ রৌদ্রকরোজ্জ্বল হয়ে ওঠে; যাতে পুজোটা সবাই আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন।
Comments are closed.