কাছাড় থেকে ৮ জন, হাইলাকান্দি থেকে ৫৬ জন তাবলীগী জামাতে দিল্লিতে, ফিরেছেন নয়, বাকিরা আটকা পড়েছেন
দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিত থাকা ২৪ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এপর্যন্ত সারাদেশে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসম রাজ্য থেকে যারা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাদের বিষয়ে কথা বলেন। এরমধ্যে কাছাড় জেলার আটজন রয়েছেন বলে জানা গেছে। কাছাড় পুলিশের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৯ ফেব্রুয়ারি এই আটজন নিজাম উদ্দিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বলা হয়েছে তাদের ঠিকানায় লোক পাঠানো হয়েছে। বিভাগের বিশেষ দলগুলো তাদের এবং পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছে।
এদিকে হাইলাকান্দি জেলার মোট ৫৬ জন ব্যক্তি ২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে নয়াদিল্লি সফর করেন। এদের মধ্যে ৯ জন ২০২০ সালের ১০ মার্চ ফিরে আসেন এবং বাকি ৪৭ জন ব্যক্তি এখনও রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। মসজিদে শুধু ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সহ, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও বিভিন্ন মানুষজন অংশ নেন। সেখান থেকেই ব্যাপক হারে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবারই তেলেঙ্গানায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বলে সোমবার রাতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
নিজামুদ্দিন এলাকার ওই সভায় অংশ নেওয়া আরও এক ধর্মীয় নেতার শ্রীনগরে মৃত্যু হয়েছে। বছর ষাটের ওই বৃদ্ধ গত সপ্তাহে মারা গিয়েছেন। তার পরই আতঙ্ক ছড়ায় নিজামুদ্দিনকে ঘিরে। দিল্লিতে খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দগরার পাশে একটি ধর্মীয় সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে অনেক ছোট দলও যোগ দিয়েছিল বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের প্রায় ৬০০ জন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বলে খবর রয়েছে। সেখানে উপস্থিত আরও অনেকের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সারা রাজ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছেন। তবে এই ঘটনায় অসম সহ সারা দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
Comments are closed.