Also read in

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর বৃদ্ধা স্ত্রী ও পুত্রকে দলবদ্ধভাবে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ, পাল্টা এফআইআর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

*শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর বৃদ্ধা স্ত্রী ও পুত্রকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ, পাল্টা এফআইআর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের*

 

বরাকের মানুষ ধীরে ধীরে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। প্রতিদিনই কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং সঙ্গীরা।

আজও এমন একটি ঘটনায় সোনাইয়ের বাসিন্দা ফকরুল ইসলাম লস্কর (৩২) এবং তার মা মীরা লস্কর (৬৫) অভিযোগ করেছেন যে, আজ সকালে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করেছেন। তাদের অভিযোগ রোগীকে ইনজেকশন দিতে গিয়ে নার্স উল্টোপাল্টা করছিলেন, সে কথা বলতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কর্তব্যরত নার্স এবং ডাক্তাররা। ডাক্তারদের ফটো তোলার অভিযোগে ফখরুলের মোবাইল ও কেড়ে নেন তারা। তারপর বেধড়ক মারধর করা হয় ফখরুল এবং তার ৬৫ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা মায়ের উপর।

এই ঘটনা নিয়ে এসএমসিএইচ এর ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান তারা।

এদিকে এসএমসিএইচ কর্তৃপক্ষ কর্তব্যরত ডাক্তারকে নিগ্রহ করার অভিযোগে ফখরুল এবং তার মাকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন । তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও নথিভুক্ত করেছেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

বরাকের মানুষ ধীরে ধীরে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। প্রতিদিনই কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং সঙ্গীরা।

আজও এমন একটি ঘটনায় সোনাইয়ের বাসিন্দা ফকরুল ইসলাম লস্কর (৩২) এবং তার মা মীরা লস্কর (৬৫) অভিযোগ করেছেন যে, আজ সকালে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করেছেন। তাদের অভিযোগ রোগীকে ইনজেকশন দিতে গিয়ে নার্স উল্টোপাল্টা করছিলেন, সে কথা বলতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কর্তব্যরত নার্স এবং ডাক্তাররা। ডাক্তারদের ফটো তোলার অভিযোগে ফখরুলের মোবাইল ও কেড়ে নেন তারা। তারপর বেধড়ক মারধর করা হয় ফখরুল এবং তার ৬৫ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা মায়ের উপর।

এই ঘটনা নিয়ে এসএমসিএইচ এর ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান তারা।

এদিকে এসএমসিএইচ কর্তৃপক্ষ কর্তব্যরত ডাক্তারকে নিগ্রহ করার অভিযোগে ফখরুল এবং তার মাকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন । তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও নথিভুক্ত করেছেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগী তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যান। প্রবীণ নাগরিক এই রোগীকে একজন নার্স ইনজেকশন দেওয়ার সময় সিরিঞ্জে রক্ত আসায় অভিযোগ করছিলেন রোগীর পুত্র ফখরুল ইসলাম লস্কর এবং স্ত্রী। এই প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম লস্কর বলেন, “আমি আজ আমার বাবার সঙ্গে এসএমসিএইচে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে এসে কর্তব্যরত দুই চিকিৎসককে বাবার অবস্থা জানাই। তারা আমাদের রক্ত ​​পরীক্ষা করাতে বলে এবং সেই অনুযায়ী নার্স আমার বাবার কাছ থেকে রক্ত ​​সংগ্রহ করতে আসে। সুচ বের করার পর, আমি দেখতে পাচ্ছিলাম রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে এবং তাই আমার মা নার্সকে বললেন ধীরে ধীরে এটি করতে কারণ আমার বাবা হার্টের রোগী। কথাটা বলতেই নার্স রেগে উঠেন। পরে আমি কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলি যে রক্ত ​​ক্ষরন হয়েছে, ডাক্তার উল্টে বললেন যে আমরা তাদের এবং নার্সের সাথে খারাপ ব্যবহার করছি, অথচ আমি বলেছিলাম রক্তপাত হচ্ছে। তারা আমাদের সাথে খুব অভদ্র আচরণ শুরু করেন। যখন আমি জিজ্ঞেস করলাম তাদের নাম কি, তারা উত্তর না দিয়ে বলেন , তুই কি করবি”।

পরে ফখরুল দুই চিকিৎসকের ছবি তুলতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ছবি মুছে দিতে তার ফোন ছিনিয়ে নেন। ফকরুল ইসলাম আরও বলেন, “আমি তাদের ছবি তোলার পর তারা আমার ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং ছবি মুছে দেয় এবং আমাকে মারতে থাকে। তারা আমার মাকেও আঘাত করেছে, মার বয়স ৬৫ বছর। তাদের ৮০ জন ডাক্তার আমাদের মারতে দল বেঁধেছিল, কারণ আমি তাদের ছবি তুলেছিলাম। তারা কি ডাক্তার নাকি গুন্ডা? এর পরে, তারা আমাকে একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং তারা যা কিছু পেয়েছে তাই দিয়ে আমাকে আঘাত করে। তারা আমার নাক ভেঙ্গেছে, আমার সারা শরীরে ক্ষত রয়েছে”।

পরে ঘুঙ্গুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ বন্ধ করে। ঘুঙ্গুর আউট পোস্টের ওসি বীরকুমার সিংহ জানান, তিনি আহত মা-ছেলে উভয়কে এবং মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা বাবাকে চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এসএমসিএইচের পক্ষে কথা বলেন মেডিসিন বিভাগের ভিপি তনুজ কুমার বিশ্বাস। তিনি চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর অ্যাটেনডেন্টকে মারধোরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং বলেন যে বরঞ্চ রোগীর সঙ্গীই মারধর করেছে, এ ব্যাপারে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!