নিখুঁত রূপায়ণে অনেকেই বাস্তব ঘটনা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন
দালানের ভেতর থেকে ‘ভূমিকম্পে আহতদের’ দক্ষতার সঙ্গে নামিয়ে আনার সাথে সাথে চলতে থাকে প্রাথমিক চিকিৎসা- ডাক্তার, নার্স সবাই প্রস্তুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় । তারপরই ক্ষিপ্রতার সাথে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর মহড়া করা হয়। পরিস্থিতির সাথে মিলিয়ে বিভিন্ন বিভাগের সক্রিয় কর্মীরা দৃঢ়তার সাথে এই কর্মসূচি সম্পাদন করেন। ওদের হাবভাব দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না যে এটা নিছক একটা মহড়া মাত্র। সাথে সাথে চলছিলো সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষের সাথে ওয়াকি টকিতে তথ্য আদান-প্রদান। কর্তৃপক্ষ যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই মহড়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন কিন্তু বাস্তবে দমকল, পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্সের গতিবিধি দেখে এবং সাইরেন হুটারের শব্দে জনগণ সত্যি সত্যি কিছু ঘটেছে ভেবে নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে আশেপাশে ভিড় জমান।
ভূমিকম্প জনিত দুর্যোগ মোকাবিলার মহড়া সারা রাজ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে আজ শিলচরেও অনুষ্ঠিত হলো। এই মক ড্রিল জেলা প্রশাসনের অধীনস্থ জেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শহরের পাঁচটি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি বিভাগ অংশগ্রহণ করে। সকাল দশটায় জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনী, এসডিআরএফ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগগুলি উদ্ধার কার্যে যোগদান করে।
আজকের মহড়ায় পাঁচটি স্থান ছিল ডন বসকো স্কুল- রামনগর, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় -তারাপুর, শিলচর সিভিল হাসপাতাল, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এবং জেলা উপায়ুক্ত অফিস।
পুরো আসাম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা, আগেও অনেক ভূমিকম্প হয়েছে ভবিষ্যতেও আরো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভূমিকম্প হলে কি করে লোককে বের করে নিয়ে আসতে হবে , আহতদের কি করে চিকিৎসা করতে হবে, কি করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখা হবে এই নিয়েই আজকের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ছাড়াও আজকের এই মক ড্রিলে সামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী, এয়ার ফোর্স, স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবহন বিভাগ সবার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হয়।
Comments are closed.