
জেল রোড কান্ড : প্রিয়া মজুমদার গ্রেপ্তার; সাগ্নিক গুপ্ত এবং দূর্বা পালের সন্ধান চলছে
প্রায় ১৫ দিন পর অন্যতম অভিযুক্ত প্রিয়া মজুমদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল শিলচর পুলিশ। প্রিয়া মজুমদারকে হাতকড়ি পরিয়ে শিলচর সদর থানার মহিলা সেলে নিয়ে আসা হয় শুক্রবার রাতে। প্রিয়ার মাকেও সদর থানায় দেখা যায়, কিন্তু তিনি বরাক বুলেটিনের প্রতিনিধিকে এই ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। স্থানীয় জেল রোডে মহিলা হকারের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় অপর দুই অভিযুক্ত দূর্বা পাল এবং সাগ্নিক গুপ্ত এখনো সন্ধানহীন।
উল্লেখ্য, কাছাড় জেলার লক্ষীপুর মহাকুমার মারকুইলিনের বাসিন্দা দুইজন উপজাতি মহিলা গ্রেসি মার এবং লালমুনপুই মার বিগত ২৪শে নভেম্বর শিলচর জেলরোডে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। দূর্বা পালেরা রাস্তার কুকুর চুরি করে বিক্রি করার চেষ্টাল অভিযোগে তাদের শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেছিলেন। এই নিয়ে উপজাতিদের পক্ষ থেকে গত ৫ ডিসেম্বর একটা প্রাথমিক এজাহার ও দাখিল করা হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে উপজাতি মহিলাদের গালাগাল এবং প্রহার করার ঘটনার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে উপত্যকায় তীব্র ক্ষোভ এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। বরাক বুলেটিনে আগেই জানানো হয়েছিল, অভিযুক্ত তিনজন দূর্বা পাল, সাগ্নিক গুপ্ত এবং প্রিয়া মজুমদারের আগাম জামিনের আবেদন গত বৃহস্পতিবার নাকচ হয়ে যায়। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জেলা উপায়ুক্ত এস লক্ষ্মণনের কাছে স্মারকপত্র পেশ করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছিল। শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পালও উপায়ুক্তকে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য বলেছিলেন।
কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন বৃহস্পতিবার রাতে বরাক বুলেটিনকে জানিয়েছিলেন যে, অভিযুক্তদের খুব শিগগিরই হেফাজতে নেওয়ার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তবে, একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি দুজনের এখনো সন্ধান বের করতে পারেনি পুলিশ।
Comments are closed.