
নক্ষত্র পতন! জীবনাবসান চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের
বছরের শেষ প্রান্তে এসে আরো এক নক্ষত্র পতন! চলে গেলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক মৃণাল সেন! রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে দশটার সময় তার ভবানীপুরের বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বৎসর। বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।
তার নিজস্ব তত্ত্বাবধায়ক প্রখ্যাত এই পরিচালকের মৃত্যুর বিষয়ে প্রচারমাধ্যমকে জানায় যে মৃণাল সেনের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার পর তাঁর চিকিৎসককে ডাকা হয়, কিন্তু এ যাত্রায় শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়।
চিত্রপরিচালকের ইচ্ছে অনুযায়ী ফুলমালা প্রদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য তাঁর মৃতদেহ কোথাও রাখা হবে না। আপাতত পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের মৃতদেহ। তাঁর ছেলে কুনাল সেন শিকাগো থেকে ফিরে আসার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
১৯২৩ সালে ১৪ মে তিনি অবিভক্ত ভারতের ফরিদপুরে (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা লাভের জন্য পরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। স্কটিশ কলেজে তিনি পড়াশুনা করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কমিউনিস্ট পার্টির সংস্কৃতি শাখার সঙ্গেও ছাত্রাবস্থায় তিনি যুক্ত ছিলেন।
১৯৮৩ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন। তাছাড়া ২০০০ সালে তাকে অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ সম্মানে ভূষিত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
প্রখ্যাত এই পরিচালকের প্রথম পরিচালিত ছবি ছিল ‘রাতভোর’। ১৯৫৫ সালে এই ছবিটি মুক্তি পায়। তিনি বাংলা ভাষা ছাড়াও হিন্দি ওড়িয়া ও তেলুগু ভাষায়ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলি বলা যায় প্রায় সব কটি বড় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার লাভ করতে সক্ষম হয়।
Comments are closed.