Also read in

শনি মন্দির ভাঙচুর, বাড়িতে আগুন: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা করিমগঞ্জে

 

করিমগঞ্জের দোহালিয়ায় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কিছু হিন্দু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার এবং মন্দির ভাঙচুর করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়,দুটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শনি মন্দিরের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে শনির মূর্তি বাইরে ফেলে দেওয়া হয় বলেও জানা যায়।

খবরে প্রকাশ, গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাথারকান্দি মডেল হাই সেকেন্ডারি স্কুলের আরবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে পুলিশ স্টেশনে রিপোর্টও দায়ের করা হয়। পরে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে মারধর করলে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।

জানা যায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রেলি, সড়ক অবরোধ, প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদি চলছিল। কিন্তু শনিবার বিষয়টি হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। শনিবার রাত বারোটার পরে এলাকাবাসীর ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

পাথারকান্দি পুলিশ স্টেশনের একজন সিনিয়র অফিসারের মতে, এলাকায় জমি নিয়েও বিবাদ চলছিল। ঘটনা হিংসাত্মক হয়ে ওঠার পেছনে এটিও একটি বিশেষ কারণ হতে পারে । তিনি বলেন, প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী একদল মানুষ এলাকাবাসীর ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং পার্শ্ববর্তী একটি মন্দির থেকে শনির মূর্তি বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়।

করিমগঞ্জের আমাদের প্রতিনিধির কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, অঞ্জলি দেব ও বিশ্বনাথ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং একটি রাবার বাগান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি শনি মন্দির ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এলাকার শান্তি পুনঃস্থাপনের উদ্দেশ্যে আধা সামরিক বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। করিমগঞ্জ প্রশাসনের এক সিনিয়র অধিকর্তা জানান, জেলা উপায়ুক্ত, পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রশাসন পাথারকান্দি পুলিশ থানার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলেও তিনি জানান।

Comments are closed.

error: Content is protected !!