
বিজেপি পাঁচ বছর ধরে জনগণকে বোকা বানিয়েছে, মনোনয়ন পেশ করে বললেন সুস্মিতা
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শিলচর নির্বাচন কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি ও শিলচরের বর্তমান সাংসদ সুস্মিতা দেব সোমবার কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
সুস্মিতা দেব শিলচর নির্বাচন চক্রে কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী এবং লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কংগ্রেস কর্মীরা রেলি করে জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ে পৌঁছান। রেলিটি ইন্দিরা ভবন থেকে এগারোটার সময় বেরিয়ে ক্লাব রোড, পার্ক রোড হয়ে জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায়। উপায়ুক্তের কার্যালয়ের সামনে প্রচুর সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী ও নেতা সমবেত হন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, লক্ষীপুরের বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা, বড়খলার প্রাক্তন বিধায়ক রুমি নাথ, জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ দে প্রমুখ।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সুস্মিতা দেব বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে সাধারণ মানুষ তার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন বর্ষণ করবেন এবং ইলেকশন নামক পরীক্ষায় পাশ করতে সহযোগিতা করবেন। তিনি আরও বলেন, “ আমি আশাবাদী, তবে আমি সব সময় বলি যে কোনও নির্বাচনই সহজ নয়। আমি আমার সমর্থকদের ও কর্মীদের বলেছি, এটি একটি বড় যুদ্ধ এবং আমরা কঠোর সংগ্রাম করব।”
তিনি মোদি সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, “আজ পর্যন্ত ভারতের ইতিহাসে এত বেকারত্ব হয়নি, যতটা মোদি সরকার আসার পর হয়েছে। তাছাড়া কাছাড় কাগজ কল ও নগাওঁ কাগজ কল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে কালিনগরের সভায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছিলেন, অথচ তারপর তিনি বরাকবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে নতুন করে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে শিলচরে।”
যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় তার সঙ্গে কোনও বড় মাপের কংগ্রেস নেতা উপস্থিত নেই কেন ( অন্যদিকে যেখানে বিজেপি প্রার্থী রাজদীপ রায়ের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় বিজেপির অনেক বরিষ্ঠ নেতা উপস্থিত ছিলেন) এবং এতে কোনো পার্থক্য সৃষ্টি হবে কিনা, তখন সুস্মিতা বলেন, সাধারন জনগন এবং দলের কর্মীরা তার সঙ্গে রয়েছেন। সঙ্গে তিনি এও বলেন, প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি জনসাধারণের কাছ থেকে অবশ্যই যোগ্য উত্তর পাবে।
Congress candidate Sushmita Dev after submitting her nomination
Posted by My Silchar on Monday, March 25, 2019
তিনি আরও বলেন, “তাবড় তাবড় নেতারা আসতে পারেন। কিন্তু এতে কোন পার্থক্য সৃষ্টি হবে না। কারণ বিজেপি পাঁচ বছর ধরে জনগণকে বোকা বানিয়েছে।”
নাগরিকত্ব ( সংশোধনী) বিলের বিষয়ে কংগ্রেসের ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকায় ভিন্ন অবস্থান রয়েছে বলে আসামের মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকার মন্তব্যের উত্তরে সুস্মিতা বলেন, বিজেপি এবং অগপ’রও এ বিষয়ে অবস্থান আলাদা। হাজারিকার এ ধরনের মন্তব্য করার আগে কিছু হোমওয়ার্ক করে নেওয়া উচিত ছিল বলে সুস্মিতা উল্লেখ করেন।
Comments are closed.