Also read in

ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধৃত কাছাড়ের নির্বাচন শাখার বড়বাবু অতসী দত্ত তরফদার

বড় অঙ্কের ঘুষ নিতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়লেন কাছাড় জেলা নির্বাচন শাখার বড়বাবু অতসী দত্ত তরফদার। শিলচর তারাপুরের গণআওয়াজ প্রিন্টিংয়ের কর্ণধার সুজিত চন্দের কাছ থেকে ভোটার লিস্ট ও ফর্ম ছাপিয়ে দেওয়ার বিলের বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। ধরা পড়ার পর দীর্ঘক্ষণ তাঁকে কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। অতসীর কাছে আরও ৩ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে।

পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার কাছে আগেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল। সুজিতকুমার চন্দ আগেই দুর্নীতিদমন শাখাকে জানিয়েছিলেন, প্রিন্টিংয়ের পেমেন্টের বিল রিলিজ করা বাবদ তাঁর কাছে ৯৫ হজার টাকা ঘুষ চেয়েছেন অতসী। সুজিত বাবু প্রথম দফায় ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়ে ব্যাপারটা দুর্নীতিদমন শাখাকে জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে গুয়াহাটি থেকে অাসেন শাখার আধিকারিকরা। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন শাখায় এসে সুজিত চন্দ ৩০ হাজার টাকা অতসীর হাতে তুলে দিতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন পুলিশ কর্তারা।

 

নয় সদস্যের পুলিশের ঐ দলে ছিলেন ডিএসপি জিতেন্দ্র চক্রবর্তী, ডিএসপি মৌসুমী দাস, দুইজন ইন্সপেক্টর লক্ষীনারায়ণ বর্মন ও অনুকূল মালাকার, দুইজন কম্পিউটার এক্সপার্ট এবং তিনজন কনস্টেবল।

কাছাড় জেলা নির্বাচন শাখার আধিকারিক অতসী দত্তের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ ছিল। তাঁর নাম জড়িয়েছিল কাছাড়ের বৃহৎ ইন্দ্রগড় জমি জিরাত কেলেঙ্কারিতে। তিনি সারা আসাম জেলাপ্রশাসন কর্মচারি সংস্থার কাছাড় জেলা কমিটির সহ সভানেত্রী পদে রয়েছেন। সুজিত চন্দ ও দুর্নীতিদমন শাখার অভিযানে অতসী হাতেনাতে ধরা পড়ায় কাছাড়ের জেলাশাসক কার্যালয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, অতসী দত্ত তরফদারের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Comments are closed.