বিজেপি নেতা মনোজ তালুকদারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চায় যুব কংগ্রেস
হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্করের অভিযোগের সূত্র ধরে এবার মনোজ তালুকদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালো শিলচর বিধানসভা যুব কংগ্রেস কমিটি। যুব কংগ্রেসের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বুধবার বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি মনোজ তালুকদারকে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। তারা এই দাবি নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।
যুব কংগ্রেসের সভাপতি কুশল দত্ত এব্যাপারে বলেন, কাছাড়ের কয়লা কেলেঙ্কারিতে রয়েছে একটি বিশাল চক্র এবং এতে রাজ্যের অনেক তাবড় তাবড় ব্যক্তির নাম জড়িত। শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল সরকার পক্ষে থেকেও তার দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলছিলেন। এতে তার দলে তাকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। এধরনের অনেক প্রমাণ রয়েছে বিজেপি নেতাদের কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার। এবার হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর মনোজ তালুকদারের কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলছেন। এক বিধায়ক হয়ে অন্য দলের যুবস্তরীয় নেতার বিরুদ্ধে যখন তিনি অভিযোগ তুলছেন, তবে তার পিছনে কিছুটা হলেও সত্যতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা চাই এর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
উল্লেখ্য, বিধায়ক আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি মনোজ তালুকদারের বিরুদ্ধে কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। পাশাপাশি জেলা সভাপতি কৌশিক রাই থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের এই চক্রে মদত রয়েছে বলেও দাবি করেন।
এর উত্তরে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন যুবমোর্চার সদস্যরা। যুব মোর্চার সভাপতি মনোজ তালুকদার, পুরসদস্য অভ্রজিৎ চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা আনোয়ার হোসেন লস্করকে তার অভিযোগ প্রমাণ করতে চ্যালেঞ্জ জানান এবং প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন। তারা বলেন, আনোয়ার হোসেন নিজের দোষ ঢাকতে আবোল তাবোল কথা বলছেন। আমরা তাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি, তিনি তার অভিযোগ প্রমাণ করুন। নাহলে আমরা প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। তিনি এবং তার অতীতের নেতারা এতবছর কয়লা সহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারি করেছে। এবার আমাদের সরকার আসায় এসব বন্ধ হয়ে গেছে, তাই তাদের মনে এত রাগ। এই রাগের বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ।
আনোয়ার হোসেনের মতো একজন দেশদ্রোহী এবং নিম্নমানের চিন্তাধারার লোককে বিধায়ক বানিয়ে বড় ধরনের ভুল করেছেন হাইলাকান্দির মানুষ। তার ব্যবহারে শুধুমাত্র হাইলাকান্দি নয় বরং বারবার লজ্জিত হচ্ছেন বরাক উপত্যকার মানুষ। সম্প্রতি আমরা দেখতে পেলাম আনোয়ার হোসেনের সমর্থনরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে ধ্বনি দিলেন এবং এব্যপারে বিধায়ক কোনও বাধা দিলেন না। এতেই প্রমাণিত হয় যে তিনি একজন দেশদ্রোহীদের সমর্থনকারী। বরাক উপত্যকায় ১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন, তবে আনোয়ার হোসেনের মতো নিম্নমানের ভাষায় কেউ কথা বলেন না। তার অভিযোগের উত্তর দিতে আমাদের কোনও ইচ্ছা নেই এবং প্রয়োজনও বোধ করিনা। তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী সহ দলের সম্মানিত সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ভাবে অভিযোগ করেছেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এর উত্তর দিচ্ছি বলে উল্লেখ করেন যুবমোর্চার সদস্যরা।
Comments are closed.