Also read in

ঘূর্ণিঝড় ফণী : এবার কাছাড় জেলা প্রশাসনও জারি করলো উচ্চ সর্তকতা

ঘূর্ণিঝড় ফণী এগিয়ে আসছে,আগামী কাল উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে গোপালপুরের পাশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এই নিয়ে চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যগুলোতে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেকগুলো ট্রেনের যাত্রা; স্কুল কলেজও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা।

এবার, এই ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’য়ের পূর্বাভাসে কাছাড় জেলা প্রশাসনও জারি করল সর্তকতা। আজ এক পত্র মারফত জেলার প্রশাসনিক বিভিন্ন শাখাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ জারি করল। ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে দু-তিন দিনের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় ফণী উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কাছাড় জেলায় পৌঁছতে পারে। তাই চূড়ান্তভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, যাতে কোন মানুষ এবং জন্তু জানোয়ারদের কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।

এখানে উল্লেখ্য,অতি শক্তিশালী সাইক্লোন ফণী শুক্রবার প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুরী হয়ে দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে । বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন ৷

আজ ও আগামিকাল ১০৩টি ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিলচর তিরুবনন্তপুরম এক্সপ্রেস, করমণ্ডল, জগন্নাথ, শতাব্দী, ধৌলি, অমরাবতী, পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস-সহ বহু ট্রেন।

আটক পর্যটকদের ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে রেল – বিশেষ ট্রেনে ফেরানো হচ্ছে পর্যটকদের । ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আজ বিকেলের মধ্যে পর্যটকদের পুরী ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরী, ভূবনেশ্বর থেকে শালিমার ও হাওড়া আসবে বিশেষ ট্রেন। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে আগামীকাল বিমান চলাচলও বন্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী ফণী নামটি সম্বন্ধে কৌতুহল জাগতেই পারে, কিন্তু ফণী নামটির অর্থ কী?
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নাম দিয়েছে বাংলাদেশ।

এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে (Fani) লেখা হলেও এর উচ্চারণ ফণী।

কিভাবে এই নামটি এলো?
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে।

যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।

আগে ঝড়গুলোকে নানা নম্বর দিয়ে সনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হতো। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো।

এ কারণে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়।

সে সময় আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সেসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন ‘ফণী’ ঝড়কে বাদ দিলে আর সাতটি নাম বাকী রয়েছে।

Comments are closed.