জেলাশাসকের ট্র্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জে বেরিয়ে এলো হাইলাকান্দি রোডে স্বচ্ছতার করুণ চিত্র
জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরির নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, লক্ষ্মীপুরের জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা এবং শহরের বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার সদস্যরা রবিবার সকালে হাইলাকান্দি রোডে স্বচ্ছতা অভিযান চালান। জেলা প্রশাসনের পক্ষে ‘ট্র্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ’ এর মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কার নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এদিন সকাল এগারোটায় রাঙিরখাড়ি পয়েন্ট সংলগ্ন বরাক মার্কেটের সামনে থেকে এটি শুরু হয়। জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, সামাজিক সংস্থার সদস্য সহ জেলা প্রশাসনের কর্মীরা প্রথমে ঝাড়ু হাতে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করেন। প্রশাসনের তরফে দুটি আবর্জনা পরিষ্কারের ট্রাক এবং একটি ফোকলেন গাড়ি এই উদ্যোগে কাজে লাগানো হয়। জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি নিজেই দোকানে দোকানে গিয়ে এলাকায় আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলার আবেদন করেন।পাশাপাশি তাদের বুঝিয়ে বলেন, আবর্জনা বিশেষ ভাবে আলাদা আলাদা করে সেগ্রিগেট করতে পারলে সমস্যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব। তিনি আস্বাস দেন, এলাকার প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং নতুন নিয়ম বানানো হবে।
জেলা প্রশাসনের তরফে কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্র্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জের নামে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এর মাধ্যমে উঠে আসছে শহরের স্বচ্ছতার করুণ চিত্র। প্রায় প্রতিটি এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কার নিয়ে উদাসীন শিলচর পুরসভা। বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তবে সেগুলো সেগ্রিগেট করা বা সুন্দর ভাবে স্থানান্তর করা হয় না। কিছু সামাজিক সংস্থা এবং পুরসদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো রাস্তার পাশেই ফেলে দেওয়া হয়। এতে ওই এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাফেরার অসুবিধার সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা।
হাইলাকান্দি রোডে স্টেট ব্যাংকের একটি বিরাট শাখা রয়েছে, এর পাশেই এলাকার সবচেয়ে বড় আবর্জনার স্তূপ। প্রত্যেক দিন হাজারের বেশি মানুষ স্টেট ব্যাংকের এই শাখায় বিভিন্ন কাজে আসেন। জেলা প্রশাসন ও পুরসভার সঙ্গে স্টেট ব্যাংকেরও কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পনসিভিলিটি নামের একটি দায়িত্ব রয়েছে। তাদের বড় শাখার সামনে এভাবে আবর্জনার স্তূপ রয়েছে এবং তারা এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। রবিবার জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরির কাছে এব্যাপারেও এলাকার মানুষ প্রশ্ন তোলেন। তিনি এসব নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করে সমাধান বের করবেন বলে জানান।
Comments are closed.