Also read in

ফের দেহরক্ষী ছাড়লেন বিধায়ক আনোয়ার, রাজ্য জুড়ে চর্চা

এক পিএসও কে ক্লোজড করার প্রতিবাদে শেষপর্যন্ত নিজের চার পিএসও কেই রিলিজ করে দিলেন হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর।। আর এ খবরে রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, রবিবার নিজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চারজন পিএসও কে রিলিজ করে অসম পুলিশের ডি আই জি’কে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছেন বিধায়ক আনোয়ার হোসেন।

বিধায়কের মতে, কোন কারণ ছাড়াই গত ত্রিশ এপ্রিল কাহিলীপাড়ার স্পেশাল ব্রাঞ্চ হেড কোয়ার্টারের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (নিরাপত্তা) এক নির্দেশে হাইলাকান্দি ডি এস বি র কনস্টেবল বাপন আহমেদ লস্করকে ক্লোজড করেন এবং তাকে এস বি হেডকোয়ার্টার কাহিলীপাড়ায় রিপোর্ট করতে বলা হয়।। বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পি এস ও বাপন আহমেদ লস্কর কে কোন কারণ উল্লেখ না করে, তাকে না জানিয়ে আচমকা ক্লোজড করায় বিধায়ক লস্কর গত দুই মে কাহিলীপাড়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিআইজি কে এক চিঠি পাঠিয়ে শুরু থেকে তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণ দেহরক্ষী বাপন আহমেদ লস্করকে ক্লোজড করার নির্দেশটি বাতিল করার অনুরোধ জানান ।৷ কিন্ত ওই চিঠি প্রেরণের ৪৮ ঘন্টা পরও অসম পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর না পেয়ে রবিবার নিজের নিরাপত্তায় নিয়োজিত চার জন দেহরক্ষীকে রিলিজ করেন তিনি।

বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর বলেন, বর্তমানে ফের একইভাবে কিছুই না জানিয়ে পিএসও ক্লোজড করার পেছনে গভীর রহস্য রয়েছে। যা রাজ্যের জনগণ বুঝতে পারছেন। তাছাড়া সম্প্রতি শাসক দলের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে কাছাড়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে যদি কোথাও তিনি আক্রান্ত কিংবা তার মৃত্যু হয় তাহলে অসম পুলিশ সহ সরকার দায়ী থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।।

বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর আরও বলেন, বহু নেতা মন্ত্রী, আধিকারিকের নিরাপত্তায় বছরের পর বছর ধরে একই পি এস ও নিযুক্ত রয়েছে। অথচ কোন কারণ ছাড়াই তাকে না জানিয়ে কোন যুক্তিতে তাঁর দেহরক্ষীকে ক্লোজড করা হল। তাছাড়া চিঠি পাঠালেও এর কোন সদুত্তর মিলে নি। একজন বিধায়ক হিসেবে চিঠি পাঠিয়েও কোন গুরুত্ব পান নি।। এহেন পরিস্থিতিতে পি এস ও রাখার কোন মানে নেই। তাই তিনি তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সব ক’জন দেহরক্ষীকে রিলিজ করে দিয়েছেন।।তিনি বলেন, এর আগেও অনুরূপ ভাবে তার দেহরক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন দেহরক্ষী ছাড়াই ছিলেন তিনি।

Comments are closed.

error: Content is protected !!