রোগীদের দেখতে এডিসি ওমর শরিফ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে, হাইলাকান্দিতে মধ্যরাত পর্যন্ত কারফিউ শিথিল
হাইলাকান্দি ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাতটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা উপায়ুক্ত কীর্তি জল্লি জনসাধারণকে সম্বোধিত করে এক চিঠিতে বলেন, শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, ” কারফিউ বলবৎ করার জন্য আপনাদের সবার খুবই অসুবিধার অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা আমি জানি। আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এটি একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ এবং শুধুমাত্র অসামাজিক অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে”।
তিনি সমাজের কুচক্রীদের অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। জল্লি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ০৩৮৪৪-২২৩৩৭৭/১০৭৭ নম্বর সহ একটি কন্ট্রোল রুম এবং ১০০/ ০৩৮৪৪-২২২২৫৩/২২৪৫৯৫ নম্বর সহ একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কোন ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করতে এবং সামাজিক মাধ্যমে কোন আপত্তিকর পোস্ট দেখলে সে ব্যাপারেও রিপোর্ট করার জন্য এই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানানো হয়।
জেলা উপায়ুক্ত জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে যারা হিংসাত্মক ঘটনার জন্য দায়ী তাদের সবাইকে ধরা হবে এবং সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে হাইলাকান্দির এডিসি ওমর শরিফ চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখার জন্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। আহতদের আট জনের মধ্যে জাভেদ আহমেদ বরভূইয়াকে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাছাড়া মেহবুব আহমেদ ও আইনুল হক নামের দুজনের অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমের সব পোস্টের ওপর কড়া নজর রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
Comments are closed.