“কয়লা সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডিসি-এসপি ব্যবস্থা না নিলে হরতাল করব আমরা”, হুঁশিয়ারি স্থানীয় বাসিন্দাদের
অবৈধ কয়লা চোরাচালান সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিম কাটিগড়াবাসী। অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যক্তিদের মত পশ্চিম কাটিগড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি কমিটিও মঙ্গলবার এক স্মারকপত্রের মাধ্যমে কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের কাছে এই দাবি জানান। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আগেও গত ৪ মে কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত ও এস পি’র কাছে স্মারক পত্র প্রদান করা হয়েছিল।কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার জন্য মঙ্গলবার আবার কমিটির পক্ষ থেকে স্মারক পত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, “ যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবারও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আমরা হরতাল ডাকবো এবং গণবিদ্রোহ শুরু করব”।
কয়লাবাহী ট্রাকগুলি মেঘালয় সীমান্তের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে আসামে প্রবেশ করছে বলে কর্তৃপক্ষকে প্রদান করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের নাকের ডগা দিয়ে অবাধে সিণ্ডিকেট চলছে বলে চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় থানার সঙ্গে মিলে ছয় চাকা ও ১২ চাকার কয়লা বোঝাই গাড়ি অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছে। ছয় চাকার গাড়ি প্রতি ৫০ হাজার টাকা এবং ১২ চাকার গাড়ি প্রতি ৬০ হাজার টাকা আদায় করে গাড়িগুলি পার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয়রা চিঠিতে গুমড়া পুলিশ আউটপোস্টের ভারপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর রাজিব বর্মনকে এ ব্যাপারে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে চোরাচালানকারীদের সাহায্য করার অভিযোগ করেছেন। কমিটির সদস্যরা মাছিমপুরের বাসিন্দা মঞ্জিল বরভূইয়া, রাজন লস্কর, গুমড়ার সরফরাজ আহমেদ লস্কর, কালাইনের জাবির আহমেদ সহ অনেকেই এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত করেছেন।
জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ে উপস্থিত সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কমিটির একজন সদস্য বলেন, প্রতিটি গাড়িতে ৪০ থেকে ৪২ টন কয়লা বোঝাই করে প্রচুর সংখ্যক গাড়ি চলাচলে রাস্তার বেহাল অবস্থা হচ্ছে এবং নানাভাবে স্থানীয়দের জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এই ভারি যানবাহন গুলির জন্য রাস্তা নষ্ট হওয়ার ফলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কমিটি এর আগেও এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন তথা আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সি বি আই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল।এবারে কাছাড়ের জেলা প্রশাসনকে কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এ ব্যাপারে যদি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে গণ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে স্থানীয় বাসিন্দারা।
Comments are closed.