
সুইসাইড নোট সহ সেলফি পাঠিয়েও প্রেমিকার মন গললো না, শেষমেশ আত্মহত্যা যুবকের
সুইসাইড নোট এবং ঘুমের বড়ির সাথে সেলফি তুলে পাঠিয়ে ও প্রেমিকার মন গলাতে পারল না হাসিন আহমেদ বড়ভূঁইয়া ওরফে মুন্না; শেষমেষ ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করল।এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরলেন দক্ষিণ কৃষ্ণপুরের মুন্নার পরিবারের সদস্যরা। আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে প্রতারণার কথা উল্লেখ করে তিন জনকে ক্ষমা না করতে তার পরিবারকে বলে যায় এককালের এ্যাথলিট হাসিন ওরফে মুন্না। রবিবার মুন্নার পরিবারের সদস্যরা এই সাংবাদিক বৈঠকে পুরো ঘটনা তুলে ধরে প্রতারক সহ তিন জনের কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন।
হাসিনের বাবা কুতুব উদ্দিন বড়ভূঁইয়া জানান, হাসিন মারা যাওয়ার পর তারা তার বিছানায় কাগজপত্র খুঁজতে গেলে বালিশের নিচে পান সুইসাইড-নোট। সুইসাইড নোটে প্রেমিকার প্রতারণায় বিষ পান করার কথা খোলাসা করে যায় মুন্না। প্রেমের সব বিষয় এবং চাকুরী যোগাড় করার নামে তিন লক্ষ টাকা ও সোনার গহনা তার কাছ থেকে নেওয়ার কথা ও সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছে হাসিন। সমস্ত বিষয়ে মেয়ের বড় বোনের জানা থাকলেও সেও কিছু করেনি বরঞ্চ তাকে উল্টো ধমকি দিয়েছিল।
আত্মহত্যার ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ঘেঁটে দেখতে পান মেয়ের বড় বোনের সঙ্গে ৫ ও ৬ জুন প্রেম বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে বারবার অনুরোধ করে সম্পর্ক বহাল করতে । সবশেষে সে ঘুমের বড়ির ছবি এবং সুইসাইড-নোট গলায় ঝুলিয়ে নিজস্বী তুলে পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপে। ৬ জুন শেষবারের মতো চারটা কুড়ি মিনিটে শেষবারের মতো মেসেজ পাঠায় প্রেমিকার বড় বোনকে।
মুন্নার পিতা কুতুবউদ্দিন জানালেন, তাদের বাড়ির পাশেই মেয়েটির মাসির বাড়ি রয়েছে। সেই সূত্রে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল মুন্নার। মেয়েটির বাড়ি শিলচর শহরের পার্শ্ববর্তী মাছিমপুরের বালিঘাট এলাকায়। প্রেম চলছিল ২০১৬ সাল থেকে, কিন্তু পরবর্তীতে মুন্না একটি খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়ায় বালিঘাটের প্রেমিকা তাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং অন্য একটি বিয়ে করে । সেই বিয়েতে ডিভোর্স হওয়ার পর আবার মুন্নার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ৬ জুন এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে, ভোর চারটের সময় মাকে ডেকে তুলে তার অসুস্থতার কথা জানান মুন্না। সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ৭জুন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
জেলা স্তরের একজন অ্যাথলিটের প্রেমের এই করুণ পরিণতিতে এলাকা জুড়ে ক্ষোভ এবং শোকের সঞ্চার হয়েছে।
Comments are closed.