বরাক উপত্যকার পুত্র বীর রাধা শেরপার সাফল্যের কথা
যদিও প্রতিটি তরুণ মন স্বপ্ন দেখে তবে খুব কমই পারে তাকে সত্যিতে পরিবর্তিত করতে। আমাদের সাফল্যের জন্য একটি অব্যর্থ সূত্র না থাকতে পারে কিন্তু নিজের স্বপ্নের উপরে বিশ্বাস তাকে আনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। শিলচরের ছেলে বীর রাধা শেরপা এর জীবন্ত উদাহরণ। ১৮ বছর বয়েসী তার নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে গত বছর স্টার প্লাসের জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ডান্স প্লাস 3 এ বিজয়ী হয়ে। বিজয় যে তাকে বিভ্রান্ত করেনি সে তা প্রমাণ করল অন্য আরেকটি শো জিতে। তাঁর সমর্পণ এবং আবেগের পাশাপাশি তাঁর ভক্তদের ভালোবাসা তাকে জিততে সাহায্য করল দ্য ড্যান্স চ্যাম্পিয়ন , স্টার প্লাস বিনোদন চ্যানেলের আরেকটি প্রদর্শনী।
ডান্স প্লাস 3 নতুন নৃত্যশিল্পীদের দের নাচের পরিক্ষা নিয়েছে যারা নিজেদেরকে প্রমান করতে চেয়েছে কিন্তু তার থেকেও আরো কঠিন ছিল ড্যান্স চ্যেম্পিয়াণের ষ্টেজ যেখানে বিভিন্ন চ্যানেলের নাচের শো (Jhalak Dikhlaa Jaa, Nach Baliye, Dance India Dance) বিজয়ী এবং রানার্স আপ একসঙ্গে এসেছিল| সপ্তাহের পর সপ্তাহ তরুণ যুবক বীর তার দক্ষতা এবং চরিত্রের দৃঢ়তা প্রমাণ করে চূড়ান্ত বিজয়ির সম্মাণ পায়। নাচের দক্ষতায় আশীর্বাদপুষ্ট রাধা শেরপা বি-বয়িং এবং সমসাময়িক স্টাইলের মিশ্রণে নিজেকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করেছ, যা তাকে অন্য চ্যালেঞ্জারদের মধ্যে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
শিলচরের বাসিন্দা, তার মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং বী্র বারবার গণমাধ্যমের সাক্ষাত্কারে তাঁর প্রাতি তার মায়ের সমর্থণের কথা বলেছে, এছিল তাঁর মায়েরই আশির্বআদ যা তাকে ডানা মেলে উড়তে সাহায্য করেছে। যদিও সফলতা এবং খ্যাতি অর্জনের পর বেশিরভাগ তরুণরাই অর্থের পিছনে ছুটতে ভালোবাসে, তবে বীর বিশ্বব্যাপী সাফল্যের জন্য নিজেকে আরো উন্নত করার জন্য আরও প্রশিক্ষণ নিতে চায়।
২০১৭ সালে ডান্স প্লাসের 3 এর শেষ পর্যায়ে যোগ্যতা অর্জনের পর বীরের সাথে সাক্ষাতকারের সুযোগ পেয়েছিল বারাক বুলেটিন (মাই শিলচর) তাঁর নির্দোষতা এবং সংগ্রাম আমাদের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। এই অঞ্চলে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ উপলব্ধ না থাকা সত্বেও, বীর তার নাচের দক্ষতা বাড়িয়েছে ইউটিউব ভিডিও দেখে এবং কঠোর অনুশীলন করে। সুযোগের অভাব তাকে বাধা দিতে পারেনি শে দৃড়প্রতিজ্ঞ ছিল জিবনে বড় কিছু করার জন্য।
মাই সিলচরের সাথে একচেটিয়া চ্যাটে, বীর বলেছে অনেকেই তার কাছে এসেছে সাহায্যের জন্য । কিন্তু শে পরামর্শ দেয় যে প্রত্যেকেরই তাদের নিজস্ব যাত্রা নিজেরই করা উচিত। যখন আমি শুরু করি তখন আমার আর কেউ ছিল না এবং সেটাই আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। আমরা আসাম থেকে এসেছি, এবং আমরা প্রত্যেকেই অনেক কিছু অর্জন করার ক্ষমতা রাখি।বীরের শেষ বক্তব্য “নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য কোন গডফাদারের দরকার নেই, শুধু দরকার কঠোর পরিশ্রম এবং ডেডিকেশন “।
এখানে বীর রাধা শেরপার সম্পূর্ণ সাক্ষাতকারটি দেখুন:
Comments are closed.