
শিলচরের সরকারি হাসপাতালে কাজ করার সবুজ সংকেত প্রদানের দাবি জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়ন
উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরির কাছে এক স্মারক পত্র পত্র প্রদান করেছে। স্মারকপত্রে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ তথা শিলচরের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশ তথা কাজ করার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত লায়া মাদ্দুরি গত ১৭ মে এক আদেশ জারি করে শিলচরের সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যে কাজের সময় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের যেন হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি না দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন কর্তৃক জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী দেশের জনগণের ‘কাজ করার অধিকার’ মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য হয়। সেই অর্থে সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভদেরও সেই অধিকার রয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করা এই সেলস প্রমোশন কর্মচারিদের কাজের অন্তর্গত এবং এটা তাদের মৌলিক অধিকার বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে সেলস প্রমোশন কর্মচারি (পরিষেবা শর্তাবলী) আইন, ১৯৭৬ এর সেকশন ২ডি অনুযায়ী একে যেহেতু বৈধ বলে গণ্য করা হয় তাহলে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাজকর্মকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রযোজ্য আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ইউনিয়নের সদস্যরা এ বিষয়ে জেলা উপায়ুক্তকে চাপ দেন যে তিনি যেন তাঁর আদেশ প্রত্যাহার করেন এবং সেলস প্রমোশন কর্মচারিদের পুনরায় সরকারি হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মাদ্দুরি প্রথমে বলেন যে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের এবং তাদের পরিবারের সমস্যার কথা ভেবে রিপ্রেজেন্টেটিভদের হাসপাতালে কাজ করার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। পরে তিনি এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত জয়েন্ট ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে ইউনিয়ন সদস্যদের পরামর্শ দেন এবং তিনি নিজেও এ বিষয়ে জয়েন্ট ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। এ কথাগুলো বরাক বুলেটিনকে জানালেন উইন মেডিকেয়ারের কর্মচারি বিপ্রাশিস বৈদ্য। যিনি এই স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া স্মারকলিপি প্রদানের সময় ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, সম্পাদক রাজেশ সরকার, জেলা সভাপতি প্রদীপ পাল এবং জেলা সম্পাদক সারস্বত মালাকার উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed.