তুমুল বিতর্কের পর গৌতম রায়কে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় গৌতম রায়কে কংগ্রেস দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে তুমুল বাক-বিতণ্ডার পর ৬ বছরের জন্য তাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হল। তবে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ পাঠানো আইসিসিতে।
গতকাল দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে গৌতম রায়কে দল থেকে বহিষ্কার নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ হয়। বৈঠকে দ্বিজেন শর্মা, বলিন কুলি প্রমূখ নেতারা প্রদেশ কংগ্রেসের পদাধিকারীদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এমন ধরনের একপেশে সিদ্ধান্ত না নিতে সতর্ক করে দেন। অবশেষে, সংখ্যাধিক্যের রায়ে গৌতম রায়কে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটিতে পাঠানো হবে বলে স্থির হয়। গৌতম রায়ের সঙ্গে কংগ্রেস দলের অন্য এক বিশিষ্ট নেতা রমেন বরঠাকুরকেও ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করে এআইসিসিতে পাঠানো হয় । অন্য তিনজন অভিযুক্ত প্রাক্তন সাংসদ দ্বিজেন শর্মা, পার্থপ্রতিম বরা ও শাহনাজ ইয়াসমিন হককে সাসপেন্ড না করে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুশাসন কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় এই বৈঠকে।
বিগত লোকসভা নির্বাচনে দল বিরোধী ভূমিকা নিয়েছিলেন, এই অভিযোগ এনে প্রবীণ ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা গৌতম রায়কে ইতিমধ্যেই শোকজ করেছিল কংগ্রেস দল। এদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়কে বহিস্কার করার খবরে লালায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় লালায় রাজীব ভবনে মন্ডল কংগ্রেস সভাপতি ননীগোপাল নাথ লস্করের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক সভায় গৌতম রায়কে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অপরাধে দল থেকে বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গণহারে কংগ্রেস দল ত্যাগ করার হুমকি দেওয়া হয়।
প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, গৌতম রায়কে বহিস্কারের জেরে হাইলাকান্দি পৌরসভা ও কংগ্রেস দলের হাতছাড়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন হাইলাকান্দি পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার অরুন দাস।
Comments are closed.