
ঠিকানা বদল, সেই অনিন্দিতা ভট্টাচার্য আপাতত ওয়ান স্টপ সেন্টারে
ঠিকানা বদল হলো অনিন্দিতা ভট্টাচার্যের, রহস্যজনকভাবে প্রায় কুড়ি দিন শিলচর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে কাটানোর পর একসময়ের কনভেন্ট শিক্ষিতা অনিন্দিতা ভট্টাচার্যকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
সম্প্রতি বরাক বুলেটিন এবং স্থানীয় দৈনিকে অনিন্দিতা ভট্টাচার্যের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে এই ঘটনা অবগত করায়।
পুলিশ তাকে রেল স্টেশন থেকে সরকারি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তাররা অনিন্দিতাকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং শারীরিক ভাবেও অসুস্থ বলে জানান। সদর থানার পক্ষ থেকে তাকে তখন ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করে তারপর আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাকে আপাতত চারদিনের জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টারের দাস কলোনি শাখাতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। চার দিন পর তাকে আবার আদালতে তোলা হবে, সেখান থেকে হয়তো আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোন পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য হাজার ১৯৯৩ সালে শিলচর কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক তারপর গুরুচরণ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং শিলং থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর লাভ করেছিলেন, কম্পিউটারেও যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে তার, কনভেন্ট শিক্ষিতা এই মহিলা বাংলা থেকে ইংরেজিতেই কথা বলতে বেশি পছন্দ করেন। তার বাবা বিধায়ক ভট্টাচার্য ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শিলং শাখায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তাদের বাড়ি উধারবন্দ এলাকায়। কিন্তু অনিন্দিতা অনেক দিন ধরে যাযাবর জীবন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন। শিলচর রেল স্টেশনে থাকাকালীন কেউ খবর দিলে তবেই খেতে পাচ্ছিলেন। তার সাথে একটা ব্যাগে কাপড়-চোপড়, আয়না চিরুনি এবং ‘ইসলাম’ লেখা একটি বই ছিল। নিজেকে তিনি অনিন্দিতা ভট্টাচার্য খাঁ বলে পরিচয় দিচ্ছিলেন।
ওয়ান স্টপ সেন্টারের কর্মকর্তারা আশা করছেন তার বাড়ির লোকেরা শীঘ্রই তাকে কাছে টেনে নেবেন এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা করবেন।
আগের ঘটনাবলী জানতে হলে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন।
শিলচর স্টেশনে অবস্থানরত কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তনী অনিন্দিতা ভট্টাচার্য এক রহস্যের নাম
Comments are closed.