
চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ দলে পয়লাপুল জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী রাজিব সিং
মনিপুরের জিরিবামে জন্ম নেওয়া রাজিব সিং পয়লাপুলের জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পড়া শেষ করে আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হয়ে সে হিন্দুস্তান জিংক লিমিটেডে কাজ নেয়। এই হিন্দুস্তান জিংক লিমিটেড বেদান্ত গ্রুপের বিশ্বব্যাপী ধাতু এবং খনিজ পদার্থের এক কোম্পানি, যা ভারতের মধ্যে একমাত্র এই ধরনের কোম্পানি এবং বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দস্তা, সিসা এবং রুপো তৈরির কোম্পানি।
এই কোম্পানিতে সংক্ষিপ্ত সেবার পর রাজিব ২০০৯ সালে বিজ্ঞানী/ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শ্রী হরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে যোগদান করে। হিদম রাজিব সিং বর্তমানে সলিড প্রপেলান্ট, যা ইসরো’র রকেট উৎক্ষেপণের জন্য সলিড বুস্টার তৈরির কাজে লাগে, সেই প্রপেলান্ট মিক্সিং বিভাগে কাজ করে চলেছে।
হিদম রাজিব সিং পয়লাপুলের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচ। তার এই সাফল্যে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। এদিকে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান কে সিভান এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত পুরো টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “এটা ভারতবর্ষের বিজ্ঞান এবং কারিগরির ক্ষেত্রে একটা ঐতিহাসিক দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জিএসএলভি এমকে- থ্রি- এম১ সফলভাবে চন্দ্রযান -২ কে ৬০০০ কিলোমিটার দূরত্বের কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপিত করতে সক্ষম হয়েছে। গত ১৫ জুলাই প্রথমবার কাউন্ট ডাউন চলার সময় খুবই দক্ষতার সঙ্গে এবং সঠিক সময়ে একটি কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়েছিল। ইসরো এই ত্রুটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংশোধন করে নিয়েছিল, পরবর্তী দুদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছিল। এই ত্রুটি সংশোধনের পর জুলাইয়ের ২২ তারিখ চন্দ্রযান-২ এর সফল গর্বিত উৎক্ষেপণ “।
Comments are closed.