সুতারকান্দি জমি কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাসপেন্ড কাছাড়ের ডিডিসি নবারুণ ভট্টাচার্য
করিমগঞ্জ জেলার চেকপোস্ট নির্মাণের জন্য ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির জমি অধিগ্রহণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন কাছাড়ের ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট কমিশনার তথা করিমগঞ্জের প্রাক্তন এডিসি নবারুণ ভট্টাচার্য। গতকাল রাজ্য সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই অপরাধে এর আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল রাজ্যের সমবায় বিভাগের সচিব তথা করিমগঞ্জের প্রাক্তন জেলা শাসক প্রদীপ কুমার তালুকদারকে।
সুতারকান্দি জমি কেলেঙ্কারি মামলা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না করিমগঞ্জের প্রাক্তন ডিসি তালুকদারসহ প্রাক্তন এডিসি নবারুণ ভট্টাচার্যকে। নবারুণ ভট্টাচার্য গত ৬ জুলাই থেকে কাজে অনুপস্থিত রয়েছেন। সুতার কান্দিতে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইন্টিগ্রেশন ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সংঘটিত হয় এই বিশাল কেলেঙ্কারি। প্রশাসনিক মদতে অন্য মানুষের জমির নথিপত্র জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করেন ভূমি মাফিয়া আব্দুল আহাদ চৌধুরী। তারপর মামলা ঠুকেন জমির প্রকৃত মালিকরা। পুলিশি তদন্তে সবকিছু ধীরে ধীরে খোলাসা হতে শুরু করে। বেশ কয়েকটি গ্রেফতারের ঘটনার পর আত্মগোপন করেন তখনকার প্রাক্তন ডিসি তালুকদার এবং প্রাক্তন এডিসি নবারুণ ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকার পর সুতারকান্দি জমি কেলেঙ্কারির দায়ে সরকার তাদের বরখাস্ত করে।
এই জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হন প্রাক্তন সার্কেল অফিসার হোমেন গোঁহাই বড়ুয়া, তিনি বর্তমানে হাজতে রয়েছেন। একই মামলায় একজন আমিন এবং একজন কানুনগো জেলহাজতে রয়েছেন।
Comments are closed.