প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর: এনআইটি শিলচরের সাথে ইউনিভার্সিটি অব ভুটানের মৌ স্বাক্ষর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুদিনের ভুটান সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য শনিবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি মেনে দ্বিতীয় পর্যায় ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী মোদির এটাই প্রথম ভুটান সফর।
দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনার শেষে শনিবার দুই দেশের মধ্যে ১০টি মৌ স্বাক্ষর হয়। এই দশটি চুক্তির মধ্যে চারটি হচ্ছে স্ট্যাম (সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথমেটিক্স) নিয়ে। রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ভুটানের সাথে এই মৌ স্বাক্ষরিত হয় আইআইটি, দিল্লি; আইআইটি, মুম্বাই; আইআইটি, কানপুর এবং এনআইটি, শিলচরের সাথে।
“রয়েল ভুটান ইউনিভার্সিটির সাথে আইআইটি এবং অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই সহযোগিতা শিক্ষা এবং কারিগরি উন্নয়নে সময়ের প্রয়োজন”, বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এনআইটি, শিলচরের সাথে ইউনিভার্সিটি অফ ভুটানের এই মৌ বা মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরে সন্তোষ ব্যক্ত করে শিলচর এনআইটির ডাইরেক্টর শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় এক পোষ্টে লিখেছেন, ” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরে ১৭ই আগস্ট এনআইটি শিলচরের সাথে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ভুটানের মৌ স্বাক্ষরের সংবাদে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। একাডেমিক বিনিময় অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষায় যৌথভাবে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী রিসার্চের ফলে কারিগরি ক্ষেত্রে নতুন নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। ভুটানের ছাত্রদের শিক্ষা এবং সব ধরনের প্রশিক্ষণে আতিথেয়তার কোন অভাব হবে না। ”
বন্দোপাধ্যায় আরো বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত যে, উত্তর-পূর্ব তথা পূর্বভারতে একমাত্র এনআইটি শিলচর প্রতিবেশী দেশের সাথে যৌথভাবে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই বিরল সম্মান লাভ করেছে । আমরা আমাদের শৈক্ষিক পরিবেশের সেরাটা আমাদের ভূটানি বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেব যাতে জ্ঞান এবং নতুন উদ্ভাবনে এক নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়। “
Comments are closed.