ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে আসাম রাইফেলস বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে
আসাম রাইফেলস’র একজন জওয়ান তার দুজন সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল পয়লা সেপ্টেম্বর শ্রীকোণার টিভি টাওয়ার রোডে।আজ আসাম রাইফেলস’র জনসংযোগ বিভাগ এবিষয়ে একটি সরকারি বিবৃতি জারি করেছে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “২০১৯ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর শিলচর শ্রীকোনার আসাম রাইফেলস’র এক জওয়ানের বিরুদ্ধে একটি স্কুল ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ এফআইআর করেছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসাম রাইফেলস ন্যায্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবে।”
এতে আরও যোগ করা হয়, “সেইসঙ্গে আসাম রাইফেলস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে খতিয়ে দেখছেন এবং বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনাটির সূত্র ধরে এখানে উল্লেখ্য,মেয়েটির বক্তব্য অনুসারে, সেদিন সে যখন তার টিউশনে যাচ্ছিল তখন তিনজন জওয়ান তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তারা বাজে ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলেছে বলেও সে উল্লেখ করে। এরপর তাকে জোর করে একটি রিক্সায় ট্রেনে তুলতে চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে সে চিৎকার করতে থাকে এবং স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জওয়ানকে মারধর করতে শুরু করে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে মারধর করছে।মেয়ের বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত জওয়ানকে বেঁধে রাখতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এরপরই জওয়ানরা এক ট্রাক ভরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের মারধর শুরু করে এবং পরে অভিযুক্ত জওয়ানদের নিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় জনগণ ঘটনাটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। ঘটনাটি মেয়েদের নিরাপত্তা বিষয়েও অভিভাবকদের চিন্তিত করে তুলেছে। মেয়েটির অভিভাবক তথা স্থানীয় জনগণ অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আসাম রাইফেলস’র পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত বিষয়ে জারি করা সরকারি বিবৃতি কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রদান করতে সাহায্য করবে।
Comments are closed.