বিনোদন পার্ক শিলান্যাসে এলেন না ডেপুটি কমিশনার, শিলচরের বিধায়ক; জোর চর্চা শহরে
গান্ধীবাগে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক বানানোর প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি এবং শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল যোগ না দেওয়ায় শহর জুড়ে জোর চর্চা চলছে, তাহলে কি প্রকল্পটির বিরোধিতায় নীরব সমর্থন রয়েছে তাদের, সরব হচ্ছে গ্রিন ট্রাইবুনাল?
এই প্রসঙ্গে লায়া মাদ্দুরি বলেন, আমার আগে থেকে অন্য কাজ থাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারিনি। তবে, প্রকল্পটির বৈধতা বিষয়ক একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে, আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।
জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি সভায় যোগ না দেওয়ায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন নীহারেন্দ্র নারায়ন ঠাকুর। তিনি বলেন, আমরা জেলাশাসককে এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছি, অথচ অনুষ্ঠানের দিন তিনি বেঁকে বসলেন। তিনি অনুষ্ঠানে না এসে আমাদের সঙ্গে অসহযোগিতার একটি নিদর্শন তুলে ধরেছেন।
এদিকে বিধায়ক দিলীপ পাল গান্ধীবাগে হোটেল, বাণিজ্যিক ভবন, বিনোদন পার্ক নির্মাণের বিরোধিতা বিরোধিতা করে আসছেন অনেকদিন ধরে। দলীয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ও এই অবস্থানের কথা অবহিত করেন তিনি । তাই ক্ষুব্ধ হয়ে বিধায়ক পাল শিলান্যাস অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন বলে মনে করছেন সবাই। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে দিলীপ পালের জন্য আসন সুনির্দিষ্ট ছিল, আমন্ত্রণ পত্র বা ফ্লাক্স ব্যানারে কোথাও তার কোন ছবি ছিল না; তবে শিলান্যাসের ফলকে বিধায়কের নাম ছিল।
এদিকে সম্প্রতি পরিবেশ বিজ্ঞানী তথা অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শোভন দত্তগুপ্ত গান্ধীবাগ সংলগ্ন সবুজ অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা এবং গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ নিয়ে জানান, উষ্ণায়নের ২১ নম্বর বায়োডাইভারসিটি ইন্ডো-বাংলা হটস্পটের অধীনে রয়েছে বরাক উপত্যকা। আন্তর্জাতিক গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী কোনও সবুজায়ন ধ্বংস করার অধিকার নেই এই অঞ্চলে।
এব্যাপারে শিলচর পৌরসভার কাছে বারবার জানতে চাইলেও তারা কোনও উত্তর দেননি। আমরা আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারি এবং এতে আমাদের পাশে থাকবে গুয়াহাটির আরণ্যক নামে একটি শক্তিশালী সংগঠন। গান্ধীবাগের পার্কে শিবপুর বোটানিকেল গার্ডেন থেকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় গাছ এনে লাগানো হয়েছে। গাছগুলো কেটে ফেলার অধিকার সাধারণ মানুষের নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Comments are closed.