অবৈধভাবে নির্মিত বহু দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মেহেরপুরে, উচ্ছেদ অভিযান আরও চলবে
শিলচরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। সরকারি জমি থেকে অবৈধ অধিগ্রহণ সরাতে এই উচ্ছেদ অভিযান। বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করে থাকা সরকারি জমিগুলোয় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।শিলচরের বহু এলাকায় ইতিমধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।রাস্তার পাশে অবস্থিত নালা-নর্দমা ইত্যাদি পরিষ্কার করা উচ্ছেদ অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়।
সম্প্রতি মেহেরপুর নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বানানো দোকানপাট এবং ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হল জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে। এতে প্রায় ত্রিশটি দোকান ঘর ভাঙ্গা পড়ে।নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল থেকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত জায়গা জুড়ে রাস্তা সংলগ্ন নালার ওপর যে অবৈধভাবে দোকান ঘর বানানো হয়েছিল সেগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত মাসেও মেহেরপুর এলাকায় কিছু অবৈধ বাড়ি ঘর ভেঙ্গে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল।
এই উচ্ছেদ অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বেশ কিছুদিন আগে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাসকারী জনগণকে খুব তাড়াতাড়ি জায়গা খালি করার জন্য বলা হয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত রাস্তাটিকে চার লেন করার যে প্রস্তাব রয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি জমির মাপ নেওয়া হয়েছিল। সেই জমিতে যারা অবৈধভাবে বাড়ি বানিয়ে ছিলেন তাদেরকে অগ্রিম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এলাকার একাংশ মানুষ উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। তারা অভিযোগ করেন যে তাদেরকে আগে থেকে ব্যাপারটা ভালোভাবে জানানো হয়নি। এলাকার ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গরীব শ্রেণীর বলে উল্লেখ করে তারা প্রশ্ন করেন, এ ধরনের লোকদের হেনস্থা করার কি মানে থাকতে পারে?
জেলা পূর্ত বিভাগ, সিআরপিএফ এবং পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয়। মেহেরপুর এলাকায় আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানা যায়। তবে অভিযান চালানোর আগে যারা অবৈধভাবে সরকারি জমি ব্যবহার করছেন তাদেরকে জমি খালি করার জন্য সময় দেওয়া হবে।তবে শুধু মেহেরপুর এলাকায় নয়, শহরের অন্যান্য এলাকায়ও উচ্ছেদ অভিযান চলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
Comments are closed.