গোলদিঘি মলের সামনে রাস্তা আটকানোর জোরালো প্রতিবাদ যুব কংগ্রেসের
গোলদিঘি শপিংমল সহ শিলচরের বিভিন্ন এলাকায় পুরসভার দ্বারা রাস্তা আটকানোর প্রতিবাদে সোচ্চার হলো শিলচর জেলা যুব কংগ্রেস। অতিসত্বর রাস্তাগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে সোমবার জেলা শাসকের কাছে দ্বারস্থ হন শিলচর জেলা যুব কংগ্রেসের সদস্যরা। তারা এদিন এক স্মারকপত্র প্রদানের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন এবং প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলার হুমকিও দেন।
স্মারকপত্র প্রদানের পর তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের কথা তুলে ধরেন। শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কুশল দত্ত বলেন, শহরের মানুষকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গান্ধীবাগে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক প্রকল্প উদ্বোধনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি শাসিত শিলচর পৌরসভা। গোলদিঘি শপিংমল সংলগ্ন এলাকা সহ দেওয়ানজী বাজার, গোপালগঞ্জ, জানীগঞ্জ, লক্ষীপুর রোডে সরকারি রাস্তা আটক করে পার্কিং ইত্যাদির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
প্রেমতলা পয়েন্ট সংলগ্ন গোলদিঘি শপিংমলের সামনে রাস্তা আটক করে দেওয়া হয়েছে। গোলদিঘি মল আছে বলে সাধারণ মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবেন না, এটা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা শিলচর পুরসভার এই স্বেচ্ছাচারিতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তারা প্রথম থেকেই জনগণের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন। তবে সম্প্রতি শহরের মানুষের তীব্র প্রতিবাদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গান্ধীবাগে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক এবং পাঁচতারা হোটেল বানানোর প্রকল্প উদ্বোধন করার পর তাদের মনোভাব আরো বদলে গিয়েছে। এখন তারা বেপরোয়াভাবে শহরের উপর নিজের সিদ্ধান্ত গুলো চাপিয়ে দিচ্ছেন। গোলদিঘি শপিংমলের সামনে রাস্তাটি শহরের মূল সড়ক। মলটি তৈরি করার সময় কথা ছিল প্রয়োজনে রাস্তা ছেড়ে দেওয়া হবে। অথচ সামনে সবসময়ই অবৈধভাবে পার্কিং থাকার দরুন সাধারণ মানুষ হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এবার শেষমেষ রশি বেঁধে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে এবং এতে মূল রাস্তাটি আরো ছোট হয়ে পড়েছে। আমরা সম্প্রতি দেখেছি ভিড়ে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আটকে রয়েছে, অথচ গোলদিঘি শপিংমলের পাহারাদাররা তাদের একটুকও জায়গা করে দিচ্ছেন না। শহরের রাস্তা জনগণের, এর উপর প্রথম অধিকার তাদের। অথচ সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তা পর্যন্ত ছিনিয়ে নিচ্ছে শিলচর পৌরসভা। তারা জানে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কোন লাভ নেই।কিন্তু এইটুকু ভুললে চলবে না তারা শহরের মানুষের দ্বারাই নির্বাচিত। আগামী বছর শহরের মানুষের কাছে তাদেরকে বিচার করার সুযোগটি আবার আসবে। এর আগে তারা যদি স্বেচ্ছাচারিতা করেন তাহলে ফলটা হয়তো ভালো হবে না।
তবে শুধু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবেনা, আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে আবেদন জানাচ্ছি। শহরের মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনেরও। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেও কারোর কাছে কোনও সদুত্তর পাননা, কিন্তু আমরা চুপচাপ বসে থাকবো না। আজ জেলশাসকের কাছে কথাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আমরা আশা রাখছি তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু যদি এর অন্যথা হয়, আমরা প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।
Comments are closed.