গান্ধী বাগে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ জেলা উপায়ুক্তের, সবুজ বাঁচাতে আন্দোলনে বিভিন্ন দল-সংগঠন
গান্ধীবাগে বিনোদন পার্কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে আসাম প্রগ্রেসিভ ডেভেলপার লিমিটেডকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি । ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে এই নির্মাণকার্য। উল্লেখ্য, গান্ধীবাগে ইতিমধ্যে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছিল এপিডিএল ।
গত শুক্রবার থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের শুনানি শুরু হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমিত সোয়াতের আদালতে । শুনানির প্রথম দিনে পু্রপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর হাজির হয়ে নথিপত্র পেশ করেন। এদিকে পুরসভার পার্ক সাব কমিটির সম্পাদক ঝলক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত শুরু হয়েছে তাই নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া; পুরসভা এই বিষয়ে অবগত রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলেও সবুজ বাঁচাতে শনিবার বিকেলে গান্ধী বাগের সামনে আন্দোলনে সামিল হন বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও দলের সদস্যরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির আহবানে প্রতিবাদ সমাবেশে সামিল ছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম ও।
অরিন্দম দেবের পরিচালনায় সভার শুরুতে মঞ্চের অস্থায়ী সভাপতি শেখর দেবরায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ, পুরপতির কাছে জানতে চাই জেলা উপায়ুক্ত কেন তদন্ত কমিটি গঠন করলেন, আমরা তো বলিনি; নিশ্চয়ই তদন্ত করার কারণ রয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো মেমোরেন্ডামের রিসিপ্ট কপি এসে গেছে, কিন্তু ঢিলছোড়া দূরত্বে বসে পুরপতি কেন আমাদের এই সৌজন্যবোধটুকু দেখাতে পারেননা। উল্টো আমাদেরকে টুকরা টুকরা গ্যাং বলা হচ্ছে। আমরা কোনো দলীয় রাজনীতি করছি না, গান্ধীবাগকে বাঁচানোর জন্য করছি।”
গান্ধীবাগ বাঁচাও আন্দোলন ফোরামের অন্যতম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ দাস তার বক্তব্যে বলেন গান্ধীবাগ বাঁচাও আন্দোলন শুধুমাত্র পরিবেশ, গান্ধীবাগ ও ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে আত্মমর্যাদার আন্দোলন নয়; এই আন্দোলন বেসরকারিকরণ ও বৃহৎ ব্যক্তিমালিকানায় মুনাফা করে দেওয়ার সরকারি নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন। তারপর একে একে বহু সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। গান্ধী বাগে আসাম প্রগ্রেসিভ ডেভেলপার লিমিটেডের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার় নির্দেশকে স্বাগত জানান সংগঠকরা এবং আগামীতেও চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার সংকল্প নেওয়া হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের এই সমাবেশকে নাটক বলে উল্লেখ করে পুরপতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, “ডুগডুগি বাজিয়ে রাস্তার পাশে জিনিস বিক্রি করলে যেরকম জমায়েত হয় সেরকমই এই জমায়েত। বিধায়ক দিলীপ পাল গান্ধীবাগে বিনোদন পার্ক নির্মাণের বিরোধিতা প্রকাশ করেননি।”
Comments are closed.