সদরঘাট সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মেহেরপুরের যুবক, উদ্ধারে এসডিআরএফ
সদরঘাট সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মেহেরপুরের ব্যবসায়ী জয় বণিক নামের এক ব্যবসায়ী। বছর তেইশের যুবক রাত নটা নাগাদ সদরঘাট পুরনো সেতুতে স্কুটি থামিয়ে হঠাৎ করে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
এলাকাবাসীরা দেখতে পেয়ে দৌড়ে যান এবং পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে স্কুটির নম্বর এএস ১১ এইচ ১২৬৬ খোঁজ করে পুলিশ জানতে পারে এটি টুম্পা বণিক নামে এক মহিলার নামে রেজিস্ট্রেশন করা। টুম্পা বণিকের নম্বরে ফোন করলে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তড়িঘড়ি সেতুতে পৌঁছান। কিন্তু ঝাঁপ দেওয়া যুবকটির কোন খবর এখনো মেলেনি।
রংপুর পুলিশ স্টেশনের অমল পাল জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এটুকু জানা গেছে যে, যুবকটি ব্যবসায় বেশ কঠিন সময় দিয়ে যাচ্ছিল। বাজারে তার বিরাট অঙ্কের ঋণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এই কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
মেহেরপুর পুষ্প বিহার লেনের বাসিন্দা জয় বণিক সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে এসে স্কুটি দেখে শনাক্ত করেছেন এটা জয় বণিকের নিয়ে আসা স্কুটি যা মূলত তার দিদির স্কুটি। মঙ্গলবার দুপুরে কোথাও যাবে বলে সে স্কুটি নিয়ে বেরিয়েছিল। তবে হঠাৎ করে সন্ধ্যেবেলা সদরঘাট সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করবে এটা একদমই বোঝা যায়নি।
সরকারি তরফে এসডিআরএফ সহ বিভিন্ন সুরক্ষা বাহিনী তাকে খোঁজার চেষ্টা করছে। তবে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সদরঘাটের পুরনো সেতু থেকে ঝাঁপ দেয় এক যুবক। এলাকার অটোচালক সহ অন্যরা তার ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি দেখেই দূরে আটকাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু সে ঝাঁপ দেয়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয় এবং যারা সেতুর নিচে কাছাকাছি এলাকায় ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ নৌকা নিয়ে বা কেউ সাঁতরে নদীর মাঝামাঝি পৌঁছে যান এবং যুবকটিকে উদ্ধার করেন।
শিলচর গুরুচরণ কলেজের ছাত্র ঐ যুবকটি। ছেলেটিকে এলাকা থেকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হওয়ার পর সে বিপদমুক্ত হিসেবে ঘরে ফিরে যায়।
সেতু থেকে এভাবে যুবকদের ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকেই সেতুর দুই দিকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
Comments are closed.