শিলচর জেলের শৌচাগারে পাওয়া গেল উদারবন্দের সঞ্জয় দাস নামের কয়েদির ঝুলন্ত মৃতদেহ
শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে গলায় ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন কয়েদি। সঞ্জয় দাস নামের ব্যক্তিটি ড্রাগ অ্যাডিকশন এবং চুরি ইত্যাদির দায় জেলে বন্দী ছিলেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দিনের বেলা শৌচাগারে গামছা দিয়ে ফাঁসি লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যা না হত্যা এব্যাপারে পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি। সঞ্জয় দাসের বয়স ৩০, বাড়ি উদারবন্দ বিধানসভার সমষ্টির অন্তর্গত মধুরা কোয়ারী এলাকায়। বাবার নাম জগদিশ দাস।
জেলা প্রশাসনের তরফে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অভিলাষ বারান্বাল ঘটনার তদন্ত করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর পরিদর্শন করে এসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুবকটি ড্রাগ এডিকশন ইত্যাদির দায়ে কারাগারে বন্দী ছিলেন। উদারবন্দ বিধানসভার সমষ্টির অন্তর্গত মধুরা এলাকায় তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার শৌচাগারে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গলায় ফাঁসির দাগ ছাড়া শরীরে কোন ক্ষতের চিহ্ন আপাতত দেখা যায়নি। তবে মৃত্যুর কারণ মনে তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে। আপাতত আমরা একে আত্মহত্যা হিসেবে গণ্য করছি।
জেল সুপার সত্যেন্দ্র বৈশ্য জানান, সকালে হঠাৎ করে জেলের আধিকারিকরা খবর দেন শৌচাগারে এক কয়েদির ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে খবর দিক এবং তারা এসে পরিদর্শন করেন। এদিকে পরিবারের সদস্যদেরও খবর দেওয়া হয়েছে তবে তাঁরা এখনো এসে পৌঁছোয়নি। মৃতদেহটি আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জেলের ভিতর কিভাবে একজন লোক আত্মহত্যা করল? জেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু শক্তিশালী? এসব প্রশ্নে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে কিন্তু শৌচাগারের ভেতর পুলিশ বা প্রহরী রাখা সম্ভব নয়। তবে আগামীতে যাতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে কড়া নজর থাকবে।
উল্লেখ্য, শিলচরের কেন্দ্রীয় কারাগারেই রয়েছে বিদেশি আটক শিবির (ডিটেনশন ক্যাম্প)। মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো ডিটেনশন ক্যাম্পের কোনও বন্দীর আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রশাসনের তরফে এই কথাটি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, মৃত ব্যক্তিটি ডিটেনশন ক্যাম্প এর কোন বন্দি নন।
Comments are closed.