Also read in

ওল্ড ভকতপুরে খুন হওয়া শিপ্রা পালের খুনের ঘটনায় স্বামী- পুত্র পুলিশ হেফাজতে, রহস্য ঘনীভূত

শিলচর শহর সংলগ্ন ওল্ড ভকতপুরে শিপ্রা পাল খুনের ঘটনায় অবশেষে স্বামী ও পুত্র কে গ্রেফতার করল পুলিশ।

মনসামঙ্গল গায়িকা শিপ্রা পালের মৃতদেহ গত পয়লা জানুয়ারি ওল্ড ভকতপুরের এক পরিত্যাক্ত জলাশয় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তিন দিনের মধ্যে শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশের তরফ থেকে মৃতদেহ সৎকার করা হয়। পরবর্তীতে ওই এলাকার বাসিন্দা মৃতার স্বামী ও পুত্রের পরিচয় বের হওয়ায় স্থানীয় উদয়ন ক্লাবের সদস্যরা পুলিশকে বিস্তারিত জানায়। মৃতা শিপ্রা পালের স্বামী শংকর পাল (৪৮), পুত্র সুমন পাল(২৩) মৃতদেহ দেখেও শনাক্ত করে নি, এতেই ক্লাবের সদস্যদের সন্দেহ হয়। শিপ্রা পালের বিবাহিতা কন্যা মাম্পি দাস ও পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উদয়ন ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগের পর পুলিশ সুমন পালকে ঐ এলাকা থেকেই গ্রেফতার করে । পলাতক শংকর পালকে লক্ষ্মীপুর মহাকুমার ফুলেরতল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শংকর ও সুমনকে শুক্রবার আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে যায় পুলিশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সুমন ও শংকর শিপ্রা পালের খুনের সাথে তাদের কোনও ভাবে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তারা অভিযোগের আঙুল দেখিয়েছে মনসামঙ্গল দলের শব্দকর পদবীর এক ঢোল বাদকের দিকে। পুত্র সুমন কেন মাকে সনাক্ত করল না, এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানায়, তার বাবাই নাকি মার মৃতদেহ সনাক্ত করতে মানা করেছিল। এই ব্যাপারে মৃতার স্বামী শংকর পালের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে স্বামী-পুত্রকে সন্দেহের তালিকায় উপরের দিকেই রাখছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শংকর পালের পরিবার আগে বিলপার এলাকায় বসবাস করত। কিছুদিন আগে ভকতপুর এলাকার হরিদাস সিনহা নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া আসে। শিপ্রা পাল কয়েক বছর ধরে মনসামঙ্গলের দলে গান করেন, এই সূত্রে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন।

Comments are closed.

error: Content is protected !!