গাড়ি ক্রসিং নিয়ে বচসা শেষ হলো গোষ্ঠীদ্বন্দের রক্তারক্তি কান্ড দিয়ে, জখম ১৬, ঘটনাস্থলে ডিসি ডিআইজি, এসপি।
সামান্য যাত্রীবাহী গাড়ি ক্রসিং নিয়ে দুই চালকের বচসা রূপ নিল গোষ্ঠি দ্বন্দের। এই দ্বন্দে জখম হয়েছেন ১৬ জন ব্যাক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ কালাইন থেকে ৮ কিলোমিটার দুরবর্তী ভৈরবপুর ২য় খন্ড গ্রামে।
জানা গেছে, নির্মল দাস ও আলী হোসেইন নামের দুই যাত্রীবাহী যান চালকের মধ্যে গাড়ি পাস নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এর পরই দুপক্ষের মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে মারপিটে নেমে যান। প্রায় ঘন্টা খানেক চলে উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই। এতে জখম হন ১৬ জন গ্রামবাসী। এদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় শিলচর মেডিকেলে রেফার করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়েই শিলচর থেকে ছুটে আসেন ডিআইজি দিলীপ দে, এসপি মানবেন্দ্র দেবরায়, জেলাশাসক বর্নালী শর্মা, অ্যাডিশনাল এসপি জগদীশ দাস, এডিসি সুনীল সাতাওয়ান সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন বিধায়ক অমর চান্দ জৈন ও সার্কেল ম্যাজিষ্ট্রেট মদিরা বেগম। তারা প্রথমে কালাইন হাসপাতালে জখম ব্যাক্তিদের দেখে চলে যান ভৈরবপুর দ্বিতীয় খন্ড গ্রামে। সেখানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেন। এরপর উভয় সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আইন আইনের পথে চলবে, এতে কারোর মাথা গলাবার প্রয়োজন নেই। অতি সত্বর দোষী ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করা হবে । শান্তি কমিটির বৈঠক আগামী কাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলাশাসক বর্নালী শর্মা জানান।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থার সঙ্গে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এসপি মানবেন্দ্র দেব রায় বলেন, “বিশ্বজুড়ে করোনা নিয়ে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে এই মুহূর্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। এটা এমন কিছু বড় ইস্যু ছিল না, একটা ক্ষুদ্র ঘটনা। আমি বিবাদমান দুই পক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে।”
ডিআইজি দিলীপ দে বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত সাধারণ কথা কাটাকাটি থেকে। আমি সবাইকে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার আবেদন রাখছি। অনুরোধ করছি এই ঘটনা নিয়ে যাতে কোন ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করা না হয় বিশেষত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিষোদগার না হয়।”
Comments are closed.