কাছাড়ের সরকারি কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পেলেন আরও ৩০ জন
দ্বিতীয় দফায় সরকারি কোয়ারেটাইনে থাকা ৩০জন ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উদারবন্দের নেট্রিপে সরকারি কোয়ারেন্টাইন থেকে এদিন সকালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিধায়ক মিহির কান্তি সোহ, জেলাশাসক বর্ণালী শর্মা, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক সুদীপ জ্যোতি দাস সহ অন্যান্যরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সরকারি কোয়ারেটাইন থেকে যারা এদিন মুক্ত হন প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার মাস্ক ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নেট্রিপে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে মোট ৩১ জন লোককে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে কাছাড় জেলার একমাত্র করোনা আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি সাজিবুর রহমান ছিলেন। সাজিবুর এখন সুস্থ তবু ১৪ দিন সরকারি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে জেলাশাসক বর্ণালী শর্মা বলেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এদের সরকারী কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। তাদের বারবার করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পুরোপুরি নিরাপদ হওয়ার পর রাজ্য সরকারের কাছে মুক্তির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সেখানের আধিকারিকরা পরিস্থিতি যাচাই করে অনুমতি দিয়েছেন। সমাজে ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক ব্যক্তির সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা সহকারী কোয়ারেন্টাইনে থেকে বারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাদের প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের আধিকারিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন।
বিধায়ক মিহির কান্তি সোম বলেন, ২৮ দিন সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে থেকে এখন যারা বাড়ি ফিরছেন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এবার সাদরে গ্রহণ করবেন। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন সরকার একটু বেশি কড়া মনোভাব নিয়েছে। তবে এবার আপনাদের পরিবার এবং পারিপার্শ্বিকের কেউ সন্দেহের চোখে দেখবে না। এই দুঃসময়ে আমরা প্রত্যেকে সরকারের পাশে থেকে কোন ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করব।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য আধিকারিক অজিত ভট্টাচার্য, বিভাগের মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী সহ অন্যান্য যোগ দেন।
Comments are closed.